Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Udayan Guha

‘বাছাই’ করে লক্ষ্মীর ভান্ডার, উদয়নের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক

উদয়নের এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, উদয়ন গুহ শুধু তৃণমূলের লোকদেরই বেছে লক্ষ্মীর ভান্ডার দিতে চান।

উদয়ন গুহ।

উদয়ন গুহ। —ফাইল চিত্র।

নমিতেশ ঘোষ
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২৪ ০৯:২৪
Share: Save:

লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি নেত্রী দীপা চক্রবর্তীর একটি বক্তব্য সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। যেখানে দীপাকে বলতে শোনা যায়, ‘‘২০২৫ সালের মধ্যে রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। আর বিজেপি ক্ষমতায় আসার তিন মাসের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প।’’ ওই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে লোকসভা নির্বাচনে ভোটের মুখে রাজ্যে জুড়ে প্রচার করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের ফল প্রকাশের পরে সেই তৃণমূলেরই মন্ত্রী উদয়ন গুহ দাবি করলেন, জনপ্রতিনিধিদের হাতে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হোক। যাতে তাঁরা যাচাই করতে পারেন, কাদের লক্ষ্মীর ভান্ডারের প্রয়োজন আছে। এবং কারা লক্ষ্মীর ভান্ডারের সমালোচনা করেছেন।

উদয়নের এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, উদয়ন গুহ শুধু তৃণমূলের লোকদেরই বেছে লক্ষ্মীর ভান্ডার দিতে চান। তৃণমূল ও বিজেপি দুটো দলের মধ্যে কোনও নীতি-নৈতিকতা নেই। তাদের চিন্তাভাবনারও কোনও ফারাক নেই। গরিব মানুষকে কোনও অজুহাত দেখিয়ে বঞ্চিত করার চেষ্টা হলে তা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।’’ সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদক অনন্ত রায় বলেন, ‘‘লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা কারও ঘরের বা দলের টাকা নয়। সরকারের টাকা। গরিব মানুষেরা প্রত্যেকেই তা পাবে। দল দেখে তা বাছাই করা যায় না।’’ উদয়ন অবশ্য বিরোধীদের কথাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘‘যে কোনও চাকরির সময় ‘পুলিশ ভেরিফিকেশন’ হয়। এ ক্ষেত্রে হলে আপত্তি কোথায়? আর যারা লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে ভোটের সময় মুখ্যমন্ত্রীকে কটূক্তি করেছেন, তাঁদের এটা নেওয়ার নৈতিক অধিকার নেই বলেই মনে করি। আর এটা আমাদের বক্তব্য। এই বিষয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার মুখ্যমন্ত্রী নেবেন।’’

বৃহস্পতিবার কোচবিহারের মাথাভাঙায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, ‘‘গত মঙ্গলবার কলকাতায় সভা হয়েছে। সেখানে আমরা নেতা-মন্ত্রীরা একটি বিষয়ে একমত হয়েছি। লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে দিদির (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কাছে আবেদন করব যাতে জনপ্রতিনিধিদের হাতে প্রকল্প পরিচালনার কিছু মাত্র ক্ষমতা দেওয়া হয়। যাতে আমরা বাছাই করতে পারি, কার এর প্রয়োজন আছে। আর কারা সমালোচনা করেছেন, তাঁদেরও দেখে নিতে চাই।’’ উদয়নের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, ‘‘এমনিতেই বেছে-বেছে লক্ষ্মীর ভান্ডার দেওয়া হয়। বহু গরিব মানুষ তা পান না। এ বার আরও ঝাড়াই বাছাইয়ের নামে পার্টি অফিস থেকে বিলি করতে চাইছেন তৃণমূল নেতারা। মানুষই এর জবাব দেবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Laxmi Bhandar Scheme Cooch Behar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy