ফাইল চিত্র।
এককালের স্নেহভাজন। নেতৃত্বের কাছে তাঁর নামও সুপারিশ করেছিলেন। ভরা মঞ্চে তাঁকেই ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে বসলেন তৃণমূলের এক শীর্ষনেতা। এমনকি সবার সামনে ‘পুঁটিমাছ’ বলে তাচ্ছিল্য করতেও বিন্দুমাত্র দ্বিধা করলেন না। কোচবিহারের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় সম্পর্কে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ প্রকাশ্যেই বললেন, ‘‘ওঁর নাম সুপারিশ করে ভুল করেছিলাম। আর এখন সেই ভুলের মাসুল গোটা জেলাকে দিতে হচ্ছে।’’
রাজ্যের প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ এখন দলের রাজ্য সহ-সভাপতি। কোচবিহারের তৃণমূল জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম সম্পর্কে তাঁর অভিযোগ, তিনি একইসঙ্গে বিজেপি এবং তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলেছেন। পার্থপ্রতিমের নাম করেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘এর আগে সভাপতি পদে এক বছর ছিল এ বার আর বছর ঘুরতে পারবে না। মানুষ ওর চরিত্র বুঝে গিয়েছে।’’ জেলা সভাপতিকে নিয়ে রবীন্দ্রনাথের আফসোস, ‘‘এমন একজনের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সুপারিশ করেছিলাম তার জন্য আজ গোটা জেলার তৃণমূল কংগ্রেসকে ভুগতে হচ্ছে। একটি গোখরো সাপকে বিশ্বাস করা যায় কিন্তু ওকে বিশ্বাস করা যায় না। ২০১৯ সালে এই বিশ্বাসঘাতক পিছন থেকে ছুরি মেরেছে।’’
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই তৃণমূলের সর্বময়নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের বৈঠকে বলেছিলেন ‘‘কথা দিন সবাই একসঙ্গে কাজ করবেন।’’ এমনকি দলে সমস্যা হলে তা দলের ভিতরেই আলোচনা করে সমাধান করার কথাও বলেছিলেন নেতা এবং কর্মীদের। কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল নেত্রীর নির্দেশ না মেনে প্রকাশ্যেই কাদা ছোড়াছুড়িতে লিপ্ত তৃণমূল। বৃহস্পতিবার কোচবিহারে একটি সভার মঞ্চ থেকে তৃণমূলের কোচবিহারের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিমকে লক্ষ্য করে প্রকাশ্যেই আক্রমণাত্মক মন্তব্য করতে শোনা যায় রবীন্দ্রনাথকে। তিনি বলেন, ‘‘ও রাতে বিজেপির সাথে পিকনিক খায়। দিনের বেলা বড় তৃণমূলি হয়।’’ তবে পুরনো স্নেহভাজন সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের মূল্যায়ন, ‘‘ও হচ্ছে একটি পুঁটি মাছ। পুঁটি মাছের জীবন যতটুকু ওর সভাপতি পদও ততটুকু।’’
রাজ্যের প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ এখন দলের রাজ্য সহ-সভাপতি। বৃহস্পতিবার পার্থপ্রতিম যখন পেট্রেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে তৃণমূলের হয়ে নাটাবাড়িতে সভা ডেকেছেন, তখন রবীন্দ্রনাথ আইএনটিটিইউসির ব্যানারে কর্মী কনভেনশনের আয়োজন করেন। সেখানে পার্থপ্রতিমের নাম করেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘শীতলকুচিতে লাফিয়ে গিয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিল। সেখানে গো হারা হেরেছে। মহিলারা তাকে দেখলে ঝাড়ু নিয়ে বের হয়, পুরুষরা লাঠি হাতে নেয়। তাই সে সেখানে যেতে পারে না। আর ঘুরেফিরে নাটাবাড়িতে আসে।’’
অন্যদিকে, তাঁর সম্পর্কে দলের নেতার মন্তব্য নিয়ে পার্থপ্রতিমের প্রতিক্রিয়া, কিছু নেতৃত্ব সভাপতিকে মান্যতা দিচ্ছে না কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের নিচু তলার কর্মীরা সভাপতিকে মান্যতা দেয়। উনি সিনিয়র নেতা। ওঁর সম্বন্ধে কিছু বলা আমার শোভা পায় না। শীঘ্রই কোর কমিটির মিটিং রয়েছে কোর কমিটির মিটিংয়ে এই বিষয়ে আলোচনা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy