মোহন বসু। —ফাইল চিত্র
দল টিকিট না দিলে তিনি এবং তাঁর অনুগামীরা ‘ত্রিশূল’ চিহ্ন নিয়েও আগামী পুরভোটে লড়তে পারেন, জানিয়ে দিলেন মোহন বসুর। এ বারে জেলা কমিটিতে মোহনকে রাখা হয়নি। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর বাড়িতে যান জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস। অরূপবাবু চলে গেলে মোহনবাবু এই কথা জানান। অরূপের মন্তব্য, “মোহন বসু আমাদের দলের চেয়ারম্যান ছিলেন। স্বভাবতই আমি যখনই আসি মানবিকতার খাতিরেই ওঁর বাড়ি এসে স্বাস্থ্যের খবর নেই। উনি আমাকে ক্ষোভ-বিক্ষোভের কথা বলেননি।”
তবে তৃণমূলের একাংশের বক্তব্য, জেলা কমিটি থেকে বাদ পড়ার ক্ষতে এ দিন প্রলেপ দিতে এসেছিলেন অরূপ। দলের আরেকাংশের দাবি, অরূপ নিজে দেখা করতে গিয়ে মোহনের উপরে কৌশলী চাপ রাখলেন। জেলা কমিটি থেকে বাদ পড়ার ক্ষোভে মোহন যাতে হঠাৎ কোনও সিদ্ধান্ত না নেন, তার পথ বন্ধ করতেই তিনি গিয়েছেন বলে দাবি। যদিও মোহন অনুগামীদের একটা বড় অংশের দাবি, পাল্টা চাপ রাখলেন মোহনও। এ দিন মোহন বলেন, “কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর নেতৃত্বে কমিটিতে আমাকে ব্লক সভাপতি করলেও ইস্তফা দিতাম। তবে মনেপ্রাণে তৃণমূল করি।”
দীর্ঘ সতেরো বছর ধরে চেয়ারম্যান থাকা মোহনবাবু আগামী পুরভোট প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা তো পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। দল পাশে থাকলে ভাল। না হলেও লড়ব। আগে হাত চিহ্নে জিতেছি। তার পরে ঘাসফুল চিহ্নে নিজেকে ও দলের সকলকে জিতিয়ে এনেছি। প্রতীকটা বড় কথা নয়। দল প্রতীক না দিলে ত্রিশূল চিহ্নে লড়ব।”
সূত্রের খবর, বিদায়ী কাউন্সিলরদের বড় অংশ মোহনবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। শহর ব্লকের নতুন কমিটিকেও আক্রমণ করে মোহন বলেন, “গত পুরভোটে যিনি রেকর্ড ভোটে হেরেছে, তাঁকে শহর ব্লকের কার্যকরী সভাপতি করা হয়েছে। মানুষ যাদের ফিরিয়ে দিয়েছে, তাঁদেরকেই পদ দিয়েছেন জেলা সভাপতি।” অরূপের সাক্ষাৎ নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, “দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করতেই উনি এসেছিলেন। এক মাস পরে আবার এসে আমাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেছেন। তখন অরূপবাবু নতুন কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানাতে পারেন।”
মোহনবাবুর কথা নিয়ে অরূপ বিশ্বাস কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে দলের যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মোহনবাবু সতেরো বছর চেয়ারম্যান ছিলেন। শ্রদ্ধেয় মানুষ। একটা কথা বলতে পারি। তৃণমূলের ঘাসফুল চিহ্ন না থাকলে ত্রিশূল বা অন্য কোনও চিহ্নে জিততে পারবেন না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy