Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Duare Sarkar

পর্যাপ্ত ফর্ম না থাকায় ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে ভাঙচুর! অভিযোগ শাসক দলের নেতার বিরুদ্ধে

দুয়ারে সরকার শিবির ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে রায়গঞ্জেও। সেখানে একাধিক বার আবেদন করেও বার্ধক্য ভাতা মেলেনি বলে দাবি করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।

শাসক তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতির নেতৃত্বে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।

শাসক তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতির নেতৃত্বে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ইসলামপুর শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৩ ২২:৩৯
Share: Save:

ছিল না পর্যাপ্ত ফর্ম! যার জেরে চরম হয়রানির শিকার হতে হয় দূরদূরান্ত থেকে আসা মানুষদের। ক্ষুব্ধ হয়ে দুয়ারে সরকার শিবিরে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল কয়েক জনের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর ব্লকের আগডিমঠি খন্তি অঞ্চলে। অভিযোগ, শাসক তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতির নেতৃত্বে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। দুয়ারে সরকার শিবির ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে রায়গঞ্জেও। সেখানে একাধিক বার আবেদন করেও বার্ধক্য ভাতা মেলেনি বলে দাবি করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।

গত ১ এপ্রিল থেকে রাজ্যে ‘দুয়ারে সরকার’ চালু হয়েছে। ইসলামপুরের দিঘলবস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিবির বসেছে। সরকারি সুবিধা পেতে বৃহস্পতিবার ওই শিবিরে অসংখ্য মানুষ হাজির হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, সকাল সাড়ে ১০টায় শিবির চালু হওয়ার কথা বলেও সরকারি কর্মীরা সেখানে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ এসে পৌঁছন। এর পর শিবির চালু হলেও সরকারি প্রকল্পের ফর্ম কম থাকায় অনেকেই তা পাননি। ফর্ম না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন গ্রামবাসীদের একাংশ। সেই সময় দুয়ারে সরকার শিবিরেই ছিলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আকবর আলি। অভিযোগ, তাঁর নেতৃত্বেই গ্রামবাসীদের একাংশ শিবিরে ভাঙচুর চালান। বাইরে ছুড়ে ফেলে দেন আসবাবপত্র। পরে অবশ্য ইসলামপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

আকবর বলেন, ‘‘সকাল থেকে মানুষগুলো এসে লাইন দিয়েছে। কিন্তু ফর্মই নেই ক্যাম্পে। তা নিয়ে কোনও ভ্রুক্ষেপও নেই সরকারি কর্মীদের। বলার পরেও শুনছে না। বাধ্য হয়েই ওদের চেয়ারগুলো ফেলে দিয়েছি।’’ তবে পর্যাপ্ত ফর্ম না থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিবিরের কাজের সঙ্গে যুক্ত সরকারি আধিকারিক সাগরাম সোরেন। তিনি বলেন, ‘‘ক্যাম্পে পর্যাপ্ত ফর্ম আছে। কিন্তু বিভাগের নাম এখনও দেওয়া হয়নি। তার জন্যই সমস্যায় পড়েন গ্রামবাসীরা। দ্রুত বিভাগের নাম লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’’

বৃহস্পতিবার দুপুরে রায়গঞ্জ ব্লকের শীতগ্রাম পঞ্চায়েতের বরোই প্রাথমিক স্কুলে আয়োজিত দুয়ারে সরকার শিবিরেও উত্তেজনা তৈরি হয়। বার্ধক্য ভাতা না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। তার প্রেক্ষিতে রায়গঞ্জের বিডিও শুভজিৎ মণ্ডল বলেন, ‘‘নতুন করে সরকারি অনুমোদন না থাকায় ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে আবেদনকারী অনেক বৃদ্ধ এই ভাতা পাচ্ছেন না। প্রশাসন দুয়ারে সরকার শিবিরে ওই প্রকল্পে সকলের আবেদনপত্র জমা নিচ্ছেন। সরকারি অনুমোদন মিললেই আবেদনকারীরা বার্ধক্য ভাতা পাবেন। কিছু মানুষ ভুল বুঝে উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Duare sarkar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy