প্রতীকী ছবি
চালসায় থাকা বিরসা মুন্ডা মূর্তির চারপাশে সৌন্দর্যকরণের প্রস্তাব পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবকে দিয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল। যে সিদ্ধান্তের পরে মনে করা হচ্ছে, জনজাতিদের ভোট ফেরাতে বিরসা মুন্ডা আবেগকে অস্ত্র করছে তৃণমূল।
বিরসার মূর্তির সামনে পার্ক তৈরি এবং জনজাতি এলাকায় পর্যটনের আরও সুযোগ তৈরির জন্যও দফতরকে জলপাইগুড়ি জেলা দলের তরফে জানানো হয়েছে। সোমবার জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করতে এসেছিলেন উত্তরবঙ্গের চার জেলায় দলের কোর কমিটির চেয়ারম্যান তথা পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। এ দিনই মন্ত্রী গৌতমবাবুকে বিরসা সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী জানিয়েছেন।
গত লোকসভা ভোটে জলপাইগুড়িতে প্রায় দু’লক্ষ ভোটে তৃণমূলকে হারিয়েছিল বিজেপি। এই পরাজয়ের নেপথ্যে একাধিক কারণ খুঁজে বের করেছিল তৃণমূল। তার মধ্যে অন্যতম ছিল জনজাতি সমাজের মুখ ফিরিয়ে নেওয়া। পুজো-উৎসব পেরিয়ে যাওয়ার পরে এ বার জনজাতি ভোট ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ শুরু করল রাজ্যের শাসক দল। ন্যূনতম মজুরির দাবি সহ চা শ্রমিকদের একাধিক দাবি-দাওয়া নিয়ে তৃণমূল বিরোধী ডান-বাম দলগুলি দীর্ঘদিন ধরেই মঞ্চ বেঁধে আন্দোলন করছে। লোকসভা ভোটের আগে চা বাগানগুলিতে তৃণমূলের সংগঠন কার্যত একঘরে হয়ে পড়ে বলে দাবি। সেই ছবি দেখা গিয়েছে ভোট গণনার পরেও। চা বাগান অধ্যুষিত এলাকায় তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছে, উল্টে ‘লিড’ নিয়ে বেরিয়ে এসেছে বিজেপি। ভোটে হারার পরে জলপাইগুড়িতে দলের সংগঠনে বদল আনে রাজ্য নেতৃত্ব। বর্তমান জেলা নেতৃত্ব দায়িত্ব নিয়েই জনজাতিদের মন জয় করার বার্তা পাঠায় ব্লকে ব্লকে। বিরসাকে ঘিরে কর্মসূচি তারই অঙ্গ বলে মনে করা হচ্ছে।
এ দিন মন্ত্রী গৌতমবাবু বলেন, “বিরসা মুন্ডার মূর্তি ঘিরে সৌন্দর্যায়ন করা হবে। সব সময়ে যে বাইরে থেকে দাবি আসবে এমন নয়। আমরা নিজেরাও অনেক কিছু ঠিক করি। সরকারি স্তরে জেলাশাসক এবং দলীয় স্তরে জেলা সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে বেশ কিছু পদক্ষেপ হবে।”
আগামী ১৫ নভেম্বর বিরসা মুন্ডার জন্মদিন। সে দিন থেকে বছরভর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাও করেছে জেলা তৃণমূল। জেলা সভাপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যাণীর কথায়, “এক সময়ে ম্যালেরিয়া অধ্যুষিত ডুয়ার্সে এসে জনজাতি চা শ্রমিকরা তিল তিল করে চা বাগান গড়ে তুলেছিল। ওরা যে আমাদেরই একজন, আমরা যে ওঁদের সম্মান জানাচ্ছি সে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করব। বিরসা জনজাতিদের অধিকারের জন্য লড়েছিলেন, সেই লড়াইকেও নানা ভাবে সম্মান জানাব আমরা।” তবে তাতে কতটা কাজ হবে, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন দলেই রয়েছে। বিরসা-আবেগ এখন উত্তরবঙ্গে কতটা প্রভাবশালী, প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy