রায়গঞ্জের একটি বুথে ভোটারদের মুড়ি চানাচুর বিলি করা হচ্ছে। বুধবার রায়গঞ্জে। —নিজস্ব চিত্র।
২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে বিজেপি থেকে জয়ী হয়ে বিধানসভায় যান কৃষ্ণ কল্যাণী। পরে শিবির বদল করে তৃণমূলে। লোকসভায় প্রার্থী হওয়ায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা এবং লোকসভা ভোটে হার। এ বার ফের বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী কৃষ্ণ। বুধবার দিনভর রায়গঞ্জের বুথে-বুথে ঘুরলেন তিনি। এ দিন বিজেপির মানস ঘোষকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হলেও, কৃষ্ণের সমস্যা হয়নি।
এ দিন সকালে করোনেশন হাই স্কুলে নিজের ভোট দিতে যান কৃষ্ণ। সঙ্গে ছিলেন ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধি তথা কৃষ্ণের খড়তুতো দাদা প্রদীপ কল্যাণী। প্রদীপের বিরুদ্ধে বুথে ঢুকে ভোট প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে। যা নিয়ে কৃষ্ণের বক্তব্য, ‘‘দাদা ভোট দিতেই বুথে গিয়েছিলেন।’’
করোনেশন থেকে কৃষ্ণ যান বীরনগরে। সেখানে ছিলেন পুরসভার প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস। তার পরে বাহিন গ্রামীণ এলাকার দিকে রওনা হওয়া। সেখান থেকে ফের রায়গঞ্জে, নিজের কার্যালয়ে। সেখানে ছিলেন দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। গত বিধানসভা ভোটে কানাইয়ালাল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কৃষ্ণের। এ দিন কৃষ্ণ কানাইয়ার সঙ্গে ঘণ্টাখানেক বৈঠক করেন। পরে ফের যান গ্রামীণ এলাকায়। বিকেলে নিজের কার্যালয়ে আসেন। খোশ-মেজাজেই দেখা যায় তাঁকে। দাবি করেন, ‘‘যা ঘুরে দেখলাম, জয় নিশ্চিত।’’
বিজেপি প্রার্থী মানস ঘোষ ও বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মোহিত সেনগুপ্ত তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছেন। কসবা মহেশ বুথের কাছে ভোটরদের মুড়ি-চানাচুর খাওয়ানোর, টোটোয় বুথে আনার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের এক নেতা বলেন, ‘‘মানুষ ঘণ্টার পরে ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন। খিদে পাওয়া স্বাভাবিক। তাই একটু মুড়ি-চানাচুরের ব্যবস্থা। এটা পুরনো রীতি।’’ মোহিত বলেন, ‘‘গরিবকে প্রভাবিত করছে তৃণমূল।’’ কৃষ্ণের বক্তব্য, ‘‘বিরোধীরা হেরে বসে আছেন বলেই ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন। ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে।’’ কানাইয়ালাল আগরওয়াল এই দিন বলেন, ‘‘কাউকে প্রভাবিত করা হয়নি। এ সব অপপ্রচার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy