Advertisement
E-Paper

নেত্রীর বার্তার পরে জেলায় সতর্ক তৃণমূল

শনিবারই তুফানগঞ্জের মহিষকুচিতে গিয়ে ট্রাক্টর নিয়ে জমি চাষ করতে খেতে নেমে পড়েন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

নমিতেশ ঘোষ

শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৪ ০৪:৫৮
Share
Save

কোথাও তোলাবাজির অভিযোগ। কোথাও জমির চাষাবাদ বন্ধের ফতোয়া। আবার কোথাও মহিলাকে মারধরের অভিযোগ। লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরে এমনই নানা অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমন সময়েই চার আসনের উপনির্বাচনেও জয়ী হয় তৃণমূল। এর পরেই দলকে সামাজিক দায়িত্বের কথা মনে করিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার ফল প্রকাশের পরে মমতা বলেন, ‘‘আমাদের কাজ মানুষের সেবা করা। তার বাইরে কেউ কিছু করলে নিজের দায়িত্বে করবেন।’’ কোচবিহারে কোনও আসনে উপনির্বাচন না হলেও মমতার এ দিনের মন্তব্যকে সতর্কবার্তা হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল।

শনিবারই তুফানগঞ্জের মহিষকুচিতে গিয়ে ট্রাক্টর নিয়ে জমি চাষ করতে খেতে নেমে পড়েন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। ওই এলাকায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীদের খেতে চাষাবাদ বন্ধের ফতোয়া জারির অভিযোগ ছিল। শাসক দলের এক বুথ সভাপতি প্যাডে বিজেপি কর্মীদের নাম লিখে ফতোয়া জারি করেন বলে অভিযোগ ছিল। ওই বুথ সভাপতিকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের জেলার শীর্ষ নেতাদের অনেকেই নেত্রীর বার্তার কথা মনে করিয়ে দিয়ে সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছেন। দলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, ‘‘বিজেপির অধিকাংশ অভিযোগ মিথ্যে। তারাই বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি ছড়াতে চেষ্টা করেছে। তার পরেও কোনও অভিযোগের কথা জানতে পারলে আমরা নিজেরা সেই এলাকায় যাচ্ছি। চাষাবাদ বন্ধের অভিযোগ শুনে আমি নিজে জমি চাষ করেছি। সেই সঙ্গে এটাও বলব দলনেত্রী যেভাবে আমাদের নির্দেশে দেবেন আমরা সে ভাবেই এগিয়ে যাব।’’ তৃণমূলের কোচবিহার জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণও বলেন, ‘‘দলনেত্রীর নির্দেশ মেনেই সবাইকে চলতে হবে।’’

কোচবিহার তৃণমূলের কাছে বর্তমানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জেলা। উত্তরবঙ্গে এক মাত্র এই জেলারই একটি আসন নিজেদের কব্জায় নিতে পেরেছে রাজ্যের শাসক দল। এই অবস্থায় কোচবিহারের সংগঠনকে আরও কী ভাবে শক্তিশালী করা যায়, তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। স্বাভাবিক ভাবেই এই জেলা থেকে কোনও অভিযোগ উঠে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করুক, তা নেতৃত্ব চাইছে না। সে জন্যেই এই জেলা নিয়ে আরও বেশি সতর্ক রাজ্যের শাসক দল। বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, ‘‘তৃণমূল নেতৃত্বের মুখের কথা আর কাজে মিল নেই। ভোট ঘোষণার পর থেকে লাগাতার আক্রমণ করে যাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনও ব্যবস্থা নেই।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Mamata Banerjee Cooch Behar TMC

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}