পানিশালা-কাণ্ডে ধৃতেরা।নিজস্ব চিত্র
অবশেষে ঘটনার চারদিন পরে মহিলাকে পুড়িয়ে খুনে অভিযুক্ত তিন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে কোতোয়ালি থানার পুলিশ কোচবিহার শহর সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেফতার করে। যদিও অভিযুক্তদের দাবি, তাঁরা আত্মসমর্পণ করেছেন। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম রত্নেশ্বর রায়, প্রাণকুমার লস্কর ওরফে পাগালু এবং গণেশ রায় ওরফে কালাবুড়া। ওই ঘটনায় আরেক অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বিনয় রায় এখনও অধরা। বিনয়বাবু গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান প্রমীলাদেবীর স্বামী। তাঁকে কেন পুলিশ গ্রেফতার করতে পারল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সওয়াল বলেন, “ওই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” পুলিশের এক আধিকারিক জানান, মোবাইল টাওয়ার লোকেশন দেখে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের এ দিনই মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতে হাজির করানো হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের ১৪ দিনের হেফাজত চাওয়া হয়। বিচারক সেলিম আনসারি দশ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। গত রবিবার সকালে রত্নেশ্বরবাবুর বাড়ির উঠোন থেকে যমুনা রায় (৩৫) নামে এক মহিলার অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ভোরবেলা যমুনাদেবীকে তুলে নিয়ে গিয়ে শরীরে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে খুন করা হয়। মৃত্যুর আগে ওই মহিলা স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সামনে অভিযুক্ত চার তৃণমূল নেতা-কর্মীর নাম জানান। এক যুবক ওই কথা রেকর্ড করে রেখেছেন বলেও পুলিশ জানতে পেরেছে। পরিবারের দাবি, যমুনাদেবী ও তাঁর স্বামী মৃত্যুঞ্জয়বাবু গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ছিলেন। তৃণমূলের সঙ্গে তাঁদের বিরোধও ছিল।
বিজেপির তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে, অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। ওই এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ প্রকাশ্যেই ওই কর্মীদের ‘নির্দোষ’ বলে দাবি করেন। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “যারা এমন ভাবে মহিলাকে পুড়িয়ে খুন করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। কেউ তাদের আড়াল করার চেষ্টা হলে মেনে নেব না। জেলা জুড়ে আন্দোলন হবে।” বিজেপির পক্ষ থেকে বাকি আরেকজন অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি করা হয়েছে। ফরওয়ার্ড ব্লকের পক্ষ থেকেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে। রত্নেশ্বরবাবু এ দিন নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেন। তাঁর বাড়ির উঠোনে কিভাবে মহিলার দেহ এল তা তিনি জানেন না বলে দাবি করেন। তৃণমূলের কোচবিহার ১ নম্বর ব্লক সভাপতি খোকন মিয়াঁ বলেন, “আমাদের দলের কর্মীরা জড়িত নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy