কলকাতা হাই কোর্টের নতুন বাড়ি। জলপািগুড়ি। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্টের স্থায়ী ভবনের নিরাপত্তায় জলপাইগুড়িতে তিন তলা ‘থানা’র পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। পূর্ণাঙ্গ থানার পরিকাঠামো থাকলেও আপাতত সরকারি ভাবে ফাঁড়ি হিসেবেই পরিচিত হবে জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরে হাই কোর্টের স্থায়ী ভবনের তিন তলা ভবনটি। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের তরফে হাই কোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তিন তলা একটি বাড়ি চাওয়া হয়েছিল, সেই আবেদন মঞ্জুর
করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, চলতি বছরে হাই কোর্টের স্থায়ী ভবনে কাজ শুরু হতে পারে। তার আগে থেকেই নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে জোর দিয়েছে জেলা পুলিশ। হাই কোর্টের স্থায়ী ভবনের নিরাপত্তায় অন্তত দেড়শো পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হচ্ছে। নিরাপত্তার কোথাও যেন গাফিলতি না থাকে, সে জন্য থাকবে শতাধিক ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরাও। স্থায়ী ভবনের ওই পুলিশ পরিকাঠামোর শীর্ষে থাকবেন ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক।
জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, ডিএসপি আধিকারিকের অধীনে থাকবেন তিন জন ইন্সপেক্টর, প্রায় ২০ জন অফিসার-সহ ১৫০ পুলিশকর্মী। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, হাই কোর্টের স্থায়ী ভবনে ঢোকার সাতটি প্রবেশপথ থাকবে। সব জায়গাতেই পুলিশের নিরাপত্তা থাকবে। সর্বসাধারণের প্রবেশপথে তল্লাশির পরিকাঠামো থাকবে। পুলিশকর্মীর সংখ্যাও বেশি থাকবে। হাই কোর্টের বিচারপতিদের জন্য নির্দিষ্ট প্রবেশপথে মোতায়েন থাকবেন পদস্থ অফিসাররা। হাই কোর্টের এজলাসের আশপাশে এবং বিচারপতিদের আবাসনেও নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকছে। ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের পাশেই হাই কোর্টের স্থায়ী ভবন। সেই কারণে ট্র্যাফিকের পৃথক ব্যবস্থাও সেখানে থাকবে। থাকবে ট্র্যাফিক পুলিশের বিশেষ ইউনিট।
জলপাইগুড়ির জেলা পুলিশ সুপার উমেশ খণ্ডবহালে বলেন, “হাই কোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা পুলিশের জন্য পৃথক ভবন চেয়েছিলাম। সেটি মিলেছে। তিন তলা ভবনে স্বয়ংসম্পূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা হচ্ছে।”
জলপাইগুড়িতে হাই কোর্ট ভবনের কাজ প্রায় শেষের পথে। চলতি বছরের মার্চ মাসের পরে হাই কোর্ট ভবনে কাজ শুরু করা হতে পারে বলে একটি সূত্রের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy