কোচবিহারে এ বারে পাওয়া গেল একই এপিক নম্বরে তিন ভোটার কার্ড। অন্য একটি ক্ষেত্রে দেখা গেল, তিনটি আলাদা ভোটার কার্ডে এপিক নম্বর এবং ভোটারের নাম এক। শুধু বিধানসভা, পার্ট নম্বর আর সিরিয়াল নম্বর আলাদা। ভুয়ো ভোটার নিয়ে তৃণমূলের অভিযানে এমনই সব তথ্য উঠে আসছে বলে দাবি। তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় সমাজমাধ্যমে এমন কিছু তথ্য তুলে ধরে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।
মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ-সহ শাসক দলের একাধিক নেতা-কর্মী বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোটার কার্ডের তথ্য সংগ্রহ করেন। তৃণমূলের দাবি, ইতিমধ্যে ‘ভুয়ো’ ভোটারের সংখ্যা তিনশো ছুঁয়েছে। উদয়ন বলেন, ‘‘আমরা প্রত্যেকটি বাড়িতে গিয়ে তথ্য খতিয়ে দেখছি। তাতে এমন আরও অনেক ভুয়ো ভোটার বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছি।’’
পার্থপ্রতিম বলেন, ‘‘বিজেপির গভীর ষড়যন্ত্র ধরে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বারে একই এপিক নম্বরে আমরা তিন জন ভোটারের নাম পেয়েছি। কী করে ভোটের তথ্য পাল্টা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে তা এর থেকে পরিষ্কার।’’ এ দিন পার্থপ্রতিম যে তথ্য তুলে ধরেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে, ‘জিটিএম xxxx০১৫’— এই এপিক নম্বরে তিন জন ভোটারের নাম রয়েছে। এক জন মাথাভাঙার, আর এক জন পশ্চিম দিল্লির, অন্য জন উত্তরপ্রদেশের। আবার ‘জিটিএম xxxx২৮৮’— এই এপিক নম্বরেও তিন জনের নাম রয়েছে। তিন জনেরই নাম এক। এক জনের বাড়ি মাথাভাঙায়, অপর দু'জনের বাড়ি ফালাকাটায়। এ দিন ‘ভুয়ো’ ভোটার খুঁজতে দিনহাটা শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের ভোটের কার্ড খতিয়ে দেখেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। যদিও সেখানে কোনও ‘ভুয়ো’ ভোটার মেলেনি। মাথাভাঙা শহরে ‘ভুয়ো’ ভোটার খুঁজতে বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ। তিনি জানান, এ দিনও তাঁরা চার জন ভুয়ো ভোটার খুঁজে পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ভুয়ো ভোটারের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এর মধ্যেই প্রায় তিনশো জনের নাম আমরা পেয়েছি। সমস্ত তথ্য নিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় অভিযোগ করা হবে।’’
বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, ‘‘ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার ঢুকিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। মানুষ তা জানেন। মানুষই জবাব দেবেন।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)