আস্থা স্পেশাল ট্রেনের, প্রতিটি কামরায় মোতায়েন রেলপুলিশ। ছবি: স্বরূপ সরকার।
রামমন্দির দর্শন করতে এ বারে উত্তরবঙ্গ থেকে অযোধ্যা চললেন রাম ভক্তেরা। সোমবার উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার থেকে একটি ট্রেন ছাড়ে। তাতে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, নিউ জলপাইগুড়ি, বিহারের কিসানগঞ্জ এবং মালদহ স্টেশন থেকে একে একে ভক্তেরা ওঠেন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গের কমবেশি ১,৬০০ জন ট্রেনে চেপেছেন। এনজেপি থেকে উঠেছেন ৮০০ জন।
এ দিন, এনজেপিতে সিকিম, দার্জিলিং, কালিম্পং এবং শিলিগুড়ির নেতা-কর্মীরা ওঠেন। সেখানে রেলের তরফে একটি অনুষ্ঠানও করা হয়। সেখানে সংবর্ধনা জানাতে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রবীণ নেতা কেপি আগরওয়াল (৮৫)। হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। ফলে, এনজেপির সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আর হয়নি। মৃত কেপি আগরওয়ালের পরিবারের দাবি, রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবকের বিভিন্ন দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। শহরের সেবক রোডের বাসিন্দা ওই নেতার সাধারণ ভাবেই মৃত্যু হয়েছে।
রাম ভক্তদের ভিড়ে রেল পুলিশের টহলদারি চলেছে। সোমবার এনজেপির ৫ নম্বর স্টেশনে প্রশিক্ষিত কুকুর নিয়ে টহলের পাশাপাশি, মাইকে ঘোষণা হয়েছে যাত্রীদের সচেতন থাকতে। তা দেখে বাকি যাত্রীদের প্রতিক্রিয়া, এ দিনের মতো নিরাপত্তা থাকলে যাত্রীরা সুরক্ষিত বোধ করতেন।
লোকসভা ভোটের আগে রাম মন্দির আবেগকে ধরে রাখতে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না আরএসএস। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সূত্রের খবর, কর সেবকদের পরিবার, আরএসএসের কার্যকর্তাদের প্রথম দিকে অযোধ্যা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরের ধাপে আরও একটি ট্রেনে বাকি কার্যকর্তাদেরও নিয়ে যাওয়া হবে। পরিষদের দাবি, প্রত্যেকে টিকিট কেটেছেন। সংরক্ষিত আসনেই দর্শনার্থীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উত্তরবঙ্গের সম্পাদক (সংগঠন) অনুপকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘রামমন্দিরকে কেন্দ্র করে রেলের তরফে নানা আয়োজন করা হয়েছে। কাটিহার ডিভিশনের এডিআরএম যাত্রার উদ্বোধন করেন। টিকিট ছাড়া, কেউ ট্রেনে ওঠেননি। যে ব্যাজ দেওয়া হয়েছে, সেটিই টিকিট।’’
রেল সূত্রে দাবি, সাধারণ ট্রেনের তুলনায় এই স্পেশাল ট্রেনগুলি পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে চালানো হয়। যাত্রা শুরু থেকে গন্তব্যের মাঝখানে কোনও পর্যটক ওঠানামা করেন না। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ‘‘নিরাপত্তা বাড়তি নেই বলেই আমার কাছে খবর। প্রতি ট্রেনে দু’জন করে আরপিএফ জওয়ান থাকেন।’’ ট্রেনগুলিতে রেল অধীনস্থ সংস্থা আইআরসিটিসির মাধ্যমেই আসন সংরক্ষণ হয়। যাত্রীদের একটি করে পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। এ দিন জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে বিশেষ ট্রেনে চেপে অযোধ্যা রওনা দিলেন অনেকে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ-সহ কয়েকটি হিন্দু সংগঠনের উদ্যোগে জলপাইগুড়ি থেকে দেড়শোরও বেশি যাত্রী ওঠেন। জলপাইগুড়ি জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহুয়া গোপের কটাক্ষ, “নরেন্দ্র মোদী নিজের জমিদারি মনে করেছে রেলকে। কৃষকরা ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা চাইতে দিল্লি যেতে চাইল ট্রেন ভাড়া করে, কিন্তু আমাদের ট্রেন দিল না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy