Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪

শীতের রাতে বাড়িতে সিঁদ কেটে বিয়ের গয়না, টাকা নিয়ে গেল চোর! ধূপগুড়ির গ্রামে চাঞ্চল্য

বাড়ির সদস্যরা দেখতে পান, সিঁদ কেটে ঠিক ঘরের চৌকির তলা দিয়েই ঘরে ঢুকে ছিল চোর। চুরি শেষে আবার ওই পথেই পালিয়েছে। চুরির অভিযোগে ধূপগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বাড়িমালিক।

সকালে উঠে গোপাল দেখেন ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো, গয়নাগাটি— সব এলোমেলো হয়ে পড়ে আছে।

সকালে উঠে গোপাল দেখেন ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো, গয়নাগাটি— সব এলোমেলো হয়ে পড়ে আছে। —প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ধূপগুড়ি শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:২৭
Share: Save:

শীতের রাত। প্রচণ্ড কুয়াশা। তার মধ্যে নিঝুম গোটা গ্রাম। ওই সুযোগে কাঁচা বাড়ির সিঁদ কেটে গৃহস্থের সর্বস্ব নিয়ে গেল চোর। মেয়ের বিয়ের গয়না চুরি হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত গৃহকর্তা গোপাল মণ্ডলের। শনিবার গভীর রাতের এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ধূপগুড়ির বারোঘরিয়া থানার পুলিশ।

গোপালের দাবি, শনিবার গভীর রাতে সিঁদ কেটে তাঁর ঘরে ঢোকে চোর। বাড়ির সবাই তখন ঘুমোচ্ছিলেন। আলমারিতে রাখা সোনার গয়না, নগদ টাকা চুরি করে চম্পট দেয় চোরের দল। গোপাল চুরির বিষয়টি জানতে পারেন সকালে ঘুম থেকে উঠে। দেখেন ঘরের জিনিসপত্র ওলট-পালট। গয়নার ব্যাগ, দরকারি কাগজপত্র ছড়িয়ে পড়ে আছে। আর আলমারির দরজাটি ভাঙা। গোপালের আর কিছু বুঝতে থাকে না।

কী ভাবে চুরি হল, তা খুঁজতে গিয়ে বাড়ির সদস্যরা দেখতে পান, সিঁদ কেটে ঠিক ঘরের চৌকির তলা দিয়েই ঘরে ঢুকে ছিল চোর। চুরি শেষে আবার ওই পথেই পালিয়েছে। চুরির অভিযোগে ধূপগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বাড়িমালিক।

গোপাল বলেন, ‘‘আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। সকালে উঠে দেখি শোকেসের তালা ভাঙা। বাড়ির ইলেকট্রিক মেইন সুইচ বন্ধ করা। আলমারিতে গিয়ে দেখি মেয়ের বিয়ের জন্য জমানো সোনার গয়না, নগদ ৫০ হাজার টাকা, কিচ্ছু নেই।’’ বাড়ির সদস্যা পিঙ্কি মণ্ডল বলেন, ‘‘ ঘুম থেকে উঠে দেখি কাগজপত্রগুলো মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। তাতেই আমাদের সন্দেহ হয়। আলমারিতে দেখি সোনার গয়না আর জমানো টাকা নেই।’’

এই চুরির ঘটনায় আতঙ্কায় ছড়িয়েছে এলাকায়। দীনবন্ধু রায় নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘রাতের অন্ধকারে কে বা কারা ওদের বাড়িতের সিঁদ কেটে মেয়ের বিয়ের জন্য জমানো সোনার গয়না, টাকা— সব চুরি করেছে। ব্যপারটি আজ সকালে আমি শুনলাম। দুঃখজনক ঘটনা। তবে আমরাও আতঙ্কের মধ্যে আছি।’’ স্থানীয়রা এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy