জলপাইগুড়িতে ৭২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ডিম উৎপাদন কেন্দ্র তৈরির প্রস্তাব এসেছে। প্রতীকী ছবি।
জলপাইগুড়িতে ৭২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ডিম উৎপাদন কেন্দ্র তৈরির প্রস্তাব এসেছে। বুধবার জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দফতরে শিল্প বিষয়ক বৈঠকে সে প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যদিও এই কেন্দ্রের জন্য এক লপ্তে একশো একর জমির প্রয়োজন। সেটা নিয়ে আপাতত সমস্যা। এখনও পর্যন্ত যা যা জমি পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি সত্তর থেকে আশি একরের বেশি নয়। প্রস্তাবিত সংস্থাটি দিনে ছ’লক্ষ ডিম উৎপাদন করার লক্ষ্য নিয়ে জলপাইগুড়িতে আসছে বলে জানিয়েছে বণিকসভা ‘নর্থ বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিজ় অ্যাসোসিয়েশন’-এর তরফে। রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সঙ্গে জমি নিয়ে আলোচনা চলছে বলে সংগঠনের দাবি। জেলার বিভিন্ন শিল্প সংগঠন, উদ্যোগপতি থেকে শুরু করে প্রশাসনের সব দফতরকে নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু।
রাজগঞ্জে ইতিমধ্যে ডিম উৎপাদন সংস্থা রয়েছে। সম্প্রতি সেখানে নানা সমস্যা তৈরি হয়েছিল বলে বণিকসভার দাবি। প্রশসানের হস্তক্ষেপে সেই সমস্যা মিটে যাওয়ায় আরও বেশ কিছু সংস্থা আগ্রহী হয়েছে। ‘নর্থ বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিজ় অ্যাসোসিয়েশন’-এর তরফে সুরজিৎ পাল বলেন, “অন্ধ্রপ্রদেশের একটি সংস্থা আসতে চাইছে। ওদের লক্ষ্য, দিনে ছ’লক্ষ ডিম উৎপাদন করা। একশো একর জমির প্রয়োজন। বিনিয়োগ হবে প্রায় ৭২ কোটি টাকা। এটি জেলার শিল্পের জন্য খুশির খবর। প্রশাসনের তরফে সব রকম সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।”
এ দিন ছোট চা বাগানের সংগঠনের তরফেও শিল্প বৈঠকে প্রতিনিধিরা ছিলেন। সম্প্রতি রাজ্যের তরফে ছোট বাগানের জন্য জমি নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। যার জেরে, বহু ছোট বাগান রাজ্যের স্বীকৃতি পেতে চলেছে। যদিও কী ভাবে সে ছাড়পত্র দেওয়া হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এ দিন শিল্প বৈঠকে সেই প্রশ্ন তোলা হয় ছোট চা বাগানের সংগঠনের তরফে। জেলাশাসকের দফতর থেকে জানানো হয়েছে, দ্রুত রাজ্যের জমি কমিশনার ছোট চা বাগানের জমির ব্যবহার নিয়ে রূপরেখা ঘোষণা করবেন। জেলা প্রশাসনের তরফে ছোট চা বাগানে হোম-স্টে তথা পর্যটন শুরুর অনুমতি দিয়েছে। তার জন্য বাগানগুলিকে অনুদানের ঘোষণা করা হয়েছিল। সে অনুদান এখনও মেলেনি বলে সংগঠনের তরফে জানানো হয়।
জেলা প্রশাসনের তরফে এ দিন একটি ভিডিয়ো উপস্থাপনে শিল্পক্ষেত্রে জমি থেকে বিদ্যুতের কত আবেদন জমা পড়েছিল এবং কত আবেদনের নিষ্পত্তি হয়েছে, কত বকেয়া পড়ে রয়েছে তা দেখানো হয়। কোনও ক্ষেত্রেই বকেয়া আবেদনের সংখ্যা বেশি নয় বলে দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy