Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

পার্শ্বশিক্ষকদের কটাক্ষ, প্রশ্নে নেতা

তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি পেশায় শিক্ষক মুশারফ হোসেনও বলেন, ‘‘উনি তো পার্শশিক্ষক নন। তা হলে আগ বাড়িয়ে এমনটা করতে গেলেন কেন!’’

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হরিশ্চন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৫৯
Share: Save:

পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলনকে কটাক্ষ ও তাঁদের উদ্দেশ করে ফেসবুকে তৃণমূল নেতার অমর্যাদাকর পোস্টকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুরে বৃহস্পতিবার ব্লকস্তরের ওই নেতা সঞ্জীব গুপ্তর পোস্টকে ঘিরে পার্শ্বশিক্ষক, বিরোধীরা তো বটেই প্রতিবাদে সরব হয়েছে রাজ্য তৃণমূল পার্শ্বশিক্ষকদের সংগঠনও। তৃণমূলের পার্শ্বশিক্ষক সংগঠনের তরফে ফেসবুক সহ শিক্ষকেদের বিভিন্ন গ্রুপে ওই নেতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি দলের মূল নেতৃত্বকেও তাঁরা বিষয়টি জানিয়েছেন। হইচই শুরু হওয়ার পরেই অবশ্য নেতৃত্বের নির্দেশে ওই নেতা পোস্টটি মুছে দিয়েছেন। কিন্তু তাতে ক্ষোভের আঁচ কমেনি। পার্শ্বশিক্ষকদের চলতি আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ওই পোস্ট ঘিরে অস্বস্তিতে নেতৃত্বও।

পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্যারাটিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভপতি জীবনকুমার দাস বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে। কিন্তু পার্শ্বশিক্ষকদের সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই তৃণমূল নেতার পোস্টের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিষয়টি যেহেতু দলীয় নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে, তাই আর এফআইআর করা হয়নি।’’

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, সঞ্জীব ওই পোস্টে দলেরই কয়েক জন নেতাকেও ট্যাগ করে দেন। পোস্টে পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলনকে শুধু ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ করাই নয়, এত টাকা পেয়েও তাঁদের আশা মিটছে না, এমনকি তাঁরা অযোগ্য, পাড়ার নেতা, দাদাদের ধরে চাকরি পেয়েছেন বলেও লিখেছেন তিনি। ‘এই টাকায় না কুলালে কেন চাকরি নিয়েছিলেন, আর এতই যদি টাকার খাঁই, তা হলে পরীক্ষা দিয়ে স্থায়ী চাকরি নিন। কিন্তু সেই ক্ষমতাও তাঁদের নেই’, এমনও লিখেছেন সঞ্জীব। এ ছাড়া আরও বেশ কিছু মর্যাদাহানিকর মন্তব্য তিনি করেছেন বলে খবর। পোস্টের পরেই তৃণমূল পার্শ্বশিক্ষক সমিতির তরফে তার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।

এ দিন অবশ্য সঞ্জীব বলেন, ‘‘দলের নির্দেশে আমি ওই পোস্টটা তো মুছে ফেলেছি। তা নিয়ে হইচই করার আর কী আছে!’’ পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের জেলার নেতা তমাল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মনে রাখতে হবে, পার্শ্বশিক্ষকরা যে আন্দোলন করছেন তাতে সব দলের সমর্থকরাই রয়েছেন।’’

তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি পেশায় শিক্ষক মুশারফ হোসেনও বলেন, ‘‘উনি তো পার্শশিক্ষক নন। তা হলে আগ বাড়িয়ে এমনটা করতে গেলেন কেন!’’

হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি তজমূল হোসেনের দাবি, ‘‘উনি পোস্টটি মুছে দিয়েছেন। এমন যাতে না হয় তা নিয়ে ওঁকে সতর্ক করা হয়েছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Para Teacher Movement
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE