Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Harassment

হেনস্থার অভিযোগ মহিলার

এই পরিস্থিতিতে পেটে ব্যাথার জন্য একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসকের কাছে যান। সব শুনে চিকিৎসক তাঁকে কিছু ওষুধ দিয়ে ১৪ দিন হোমকোয়রান্টিনে থেকে তার পরেই যেতে বলেছেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সৌমিত্র কুণ্ডু
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২০ ০৮:৩৬
Share: Save:

পেটে ব্যাথা সঙ্গে জ্বর রয়েছে। উপসর্গ থাকায় করোনা পরীক্ষা করাতে দশদিন ধরে ঘুরছেন শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ার বাসিন্দা এক মহিলা। অভিযোগ, প্রথমে উত্তরবঙ্গ মে়ডিক্যালে যান। সেখান থেকে তাঁকে রেফার করে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের কিয়স্কে লালারস দেওয়ার জন্য পাঠানো হয়। সেখানে গেলে জানানো হয় দু’টো বেজে যাওয়ায় সে দিন আর হবে না। মহিলার দাবি, পরদিন গেলে বলা হয়, লাইনে দাঁড়াতে। চিকিৎসক দেখে মনে করলে তবেই করা হবে। তাঁর কাছে রেফারের কাগজ রয়েছে জানালেও জানানো হয় এ দিন পরীক্ষা হবে না। অভিযোগ, এরপর সুপারের দ্বারস্থ হলে তিনি জানান, মেডিক্যাল কলেজ রেফার করতে পারে না। তাই পরীক্ষা এখানে হবে না। অসুস্থতার কথা জনিয়ে অনুরোধ করলে এরপর সুপার মহিলাকে দফতর থেকে বার হতে বলে নিরাপত্তা রক্ষীকে নির্দেশ দেন একে বার করে দাও। নিরুপায় হয়ে সেখান থেকে ফিরতে হয় তাঁকে। ঘটনা নিয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা।

এই পরিস্থিতিতে পেটে ব্যাথার জন্য একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসকের কাছে যান। সব শুনে চিকিৎসক তাঁকে কিছু ওষুধ দিয়ে ১৪ দিন হোমকোয়রান্টিনে থেকে তার পরেই যেতে বলেছেন। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের সুপার অমিতাভ মণ্ডল বলেন, ‘‘এখন নানা কথা অনেকেই বলবে। সেসব ভিত্তিহীন। মেডিক্যাল কলেজ থেকে কেন রেফার করা হয়েছে সে কথা জানিয়ে বলা হয় হাসপাতালের চিকিৎসক দেখে মনে করলে নিয়ম মেনেই পরীক্ষা করা হবে। সেটাই তাঁকে বলা হয়।’’ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য জানান, ‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ ঘটনার কথা জানিয়ে মহিলা ফেসবুকে পোস্ট করে প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘‘চিকিৎসা করাতে গেলে যেভাবে অপমান, দুর্ব্যবহার, হেনস্থা করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ জানিয়েছি।’’

পেটে ব্যাথার জন্য ৬ জুন তিলকরোডের একটি নার্সিংহোমে ইউএসজি করাতে গেলে গেটে থার্মাল স্ক্যানারে ১০০ ডিগ্রির বেশি জ্বর থাকায় তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তিনি জানান, কোভিড স্ক্রিনিং সেন্টারে গেলে জানানো হয় আগে ভর্তি থেকে পাঁচদিন ওষুধ খেতে হবে। তাঁর দাবি, তখন জানানো হয় আইসোলেশনে সংক্রমণের রোগী রয়েছে তাই তিনি যেন লাগোয়া কাওয়াখালির সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন (সারি) কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নেন। সেই মতো তাঁকে প্রেসক্রিপশন করে দেওয়া হয়। সেখানে গেলে জানানো হয় টেকনিশিয়ান নেই পরদিন যেতে। অভিযোগ, পরদিন গেলে জানানো হয় এটি কোভিড হাসপাতাল হয়েছে। ১০ জুন শিলিগুড়ি হাসপাতালের কিয়স্কে তাঁকে রেফার করা হয়।

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সুপার কৌশিক সমাজদার বলেন, ‘‘মেডিক্যালে তখন কিয়স্ক ব্যবস্থা ছিল না। সারি কোভিড হাসপাতাল হওয়ায় শিলিগুড়ি হাসপাতালের কিয়স্কে পাঠানো হয়েছিল।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Harassment Doctor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy