—প্রতীকী চিত্র।
স্কুল থেকে ছুটি নিয়েছিল নবম শ্রেণির ওই নাবালিকা ছাত্রী। অভিযোগ, বাড়ি ফেরার রাস্তায় অপহরণ করা হয় তাকে। কিন্তু কী ভাবে ‘অপহরণ’ করা হল? কোথায় তাকে আটকে রাখা হল? ধরা পড়া পাঁচ জনই কি অভিযুক্ত, না আরও কেউ যুক্ত ওই ঘটনায়! এমনই সব প্রশ্ন উঠে আসেছে কোচবিহারের নাবালিকা-মৃত্যুর তদন্ত চলাকালীন, দাবি পুলিশ সূত্রের। পুলিশ অবশ্য আদালতের নির্দেশে পাঁচ যুবককেই হেফাজতে পেয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য হাতে পেয়েছে পুলিশ। যা অবশ্য এখনই প্রকাশ্যে আনতে নারাজ পুলিশ কর্তারা। পরিবারের সদস্যেরা অভিযোগ করেছেন, গণধর্ষণ করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে। পুলিশ জানিয়েছে, তেমন প্রমাণএখনও পাওয়া যায়নি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ময়না-তদন্তের রিপোর্ট। কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানিরাজ বলেন, ‘‘তদন্ত হচ্ছে।’’
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে যে সব তথ্য উঠে আসছে তার থেকে জানা যাচ্ছে, মৃত নাবালিকা ছাত্রীর সঙ্গে আগাম পরিচয় ছিল মূল অভিযুক্তের। সে দিন স্কুল থেকে ফেরার পথে পরিচয়ের সুবিধা নিয়েই পথ আটকে দাঁড়ায় সে যুবক। এর পরে জোর করে ছাত্রীটিকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। পুলিশ সন্দেহ, গ্রামেরই কোনও বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছিল ওই নাবালিকাকে। গ্রামবাসীদের কয়েক জন দাবি করছেন, প্রথমে প্রধান অভিযুক্ত নিজের বাড়িতেই ওই নাবালিকাকে আটকে রাখে। পরে কাছেই তার এক বন্ধুর বাড়িতে নাবালিকাকে রাখা হয়। সেখানেই তার উপরে ‘যৌন নির্যাতন’ চলে বলে অভিযোগ।
পুলিশের দাবি, যৌন নির্যাতন করেছে প্রধান অভিযুক্তই। মনে করা হচ্ছে, নির্যাতনে নাবালিকা অসুস্থ হয়ে পড়লে, ঘাবড়ে যায় প্রত্যেকে। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, ধীরে ধীরে নাবালিকার অবস্থা খারাপ হওয়া শুরু করলে, চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবতে বাধ্য হয় তারা। কিন্তু কোথায় চিকিৎসা করাবে তা নিয়ে শুরু হয় টানাপড়েন। ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে চুপি চুপি চিকিৎসা করানোর চেষ্টা হয়। শেষ পর্যন্ত তা না হওয়ায়, নার্সিংহোমে মেয়েটিকে ভর্তি করে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।
তবে অভিযুক্তের সঙ্গে নাবালিকার আগাম পরিচয়ের কথা অবশ্য মানতে নারাজ তার পরিবারের সদস্যেরা। তাদের দাবি, আচমকাই অপহরণ করা হয় ওই নাবালিকাকে। গ্রামবাসীদের দাবি, অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যেরা সে কথা জানতেন। তার পরেও সবাই চুপ ছিলেন। তাই তাঁদের প্রত্যেককে গ্রেফতারের দাবি উঠেছে গ্রামে। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে সমস্ত কিছু পরিষ্কার হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy