Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

ধর্মঘটে সায় নেই, শিলিগুড়ি সচলই

পোস্টার, ফ্লেক্স লাগানো হলেও আন্দোলনকারীরা অবশ্য রাস্তায় নামেননি। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা দুপুরে বন্‌ধের বিরোধিতা করে মিছিল করেন। শহরের মেয়র সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘দু’দিন বাগানে অভূতপূর্ব বন্‌ধ হয়েছে।’’ তাঁর কথায়, ধর্মঘট নিয়ে রাস্তায় নামা হয়নি।

ব্যস্ততা: বন্‌ধকে পরোয়া না করে রাস্তায় বাসিন্দারা। —নিজস্ব চিত্র ।

ব্যস্ততা: বন্‌ধকে পরোয়া না করে রাস্তায় বাসিন্দারা। —নিজস্ব চিত্র ।

কৌশিক চৌধুরী
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৭ ০৩:৫১
Share: Save:

বন্‌ধ, ধর্মঘট বা হরতালের সমর্থনে একটি অটোয় প্রচার চালালেই না কি স্তব্ধ হয়ে যায় শিলিগুড়িতে। সুনসান হয়ে যায় শহর। রসিকতা করে অনেকেই তাই বলতেন, শিলিগুড়ির বন্‌ধ নগরী।

মঙ্গলবার চা বাগিচা শ্রমিক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চের ডাকা ১২ ঘন্টার সাধারণ ধর্মঘটের পরে তা যেন বদলাতে শুরু করে দিল। এ দিন সাত সকাল থেকেই রাস্তায় নেমে পড়ে অটো আর টোটো। তারপরে একাধিক সরকারি বাস। দেখাদেখি জংশন, কোর্ট মোড়, মাল্লাগুড়ি, বর্ধমান রোডের নানা স্ট্যান্ড থেকে বেসরকারি বাস চলাচল শুরু করে। একাধিক স্কুল কলেজও খুলে যায়। ধীরে ধীরে খুলে যায় শহরের একাধিক বাজার, দোকানপাট। যা শহরের বাসিন্দারাই অনেকেই কোনও বন্‌ধের দিনে দেখেননি বলে জানান।

পোস্টার, ফ্লেক্স লাগানো হলেও আন্দোলনকারীরা অবশ্য রাস্তায় নামেননি। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা দুপুরে বন্‌ধের বিরোধিতা করে মিছিল করেন। শহরের মেয়র সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘দু’দিন বাগানে অভূতপূর্ব বন্‌ধ হয়েছে।’’ তাঁর কথায়, ধর্মঘট নিয়ে রাস্তায় নামা হয়নি। মানুষকে সমর্থন করতে বলা হয়েছে। যাঁরা করার করেছেন। সরকার পুলিশ দিয়ে বন্‌ধ ভাঙার চেষ্টা করেছে।

এ দিন সকাল ৮ বদলে ৭টা থেকেই শহরের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ শুরু হয়ে যায়। বাস, ছোট গাড়ি, বাইক প্রচুর ছিল। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে একাই গাড়ি নিয়ে চক্কর খেয়ে বেড়ান পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা। মোড়ে মোড়ে প্রচুর পুলিশকর্মী ছিল। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

একমাত্র শিলিগুড়ি শহর নিয়ম ভেঙে বার হয়ে এসেছে বলেই শহরবাসীরা জানিয়েছেন।

বিভিন্ন পাড়ার অলিগলি তো বটেই সেবক রোড, হিলকার্ট রোড, স্টেশন ফিডার রোড, দুই মাইল, বধর্মান রোডের বহু দোকান ১১ টার পর খুলে যায়। কয়েকটি বেসরকারি ব্যাঙ্কও খোলা ছিল। বাম কাউন্সিলরদের ওয়ার্ডগুলিতেও দোকানপাট খোলা ছিল। পাইকারি বাজার বন্ধ থাকলেও বিধান মার্কেট, গেটবাজার, সুভাষপল্লি, মহাবীরস্থান, হায়দারপাড়ার মতো বেশিরভাগ বাজার খুলেছে। দুপুরের পর একসময় শহরের রাস্তায় যানজট দেখে বন্‌ধ চলছে, তা বোঝাই যায়নি। জেলা তৃণমূলের যুব নেতা বিকাশ সরকার, অন্যতম সাধারণ সম্পাদক দীপক শীলেরাও রাস্তা বার হয়ে দোকানদারদের অভয় দেন। তাঁরা বলেন, ‘‘শিলিগুড়ি পাল্টাতে শুরু করেছে তা এদিন পরিষ্কার হয়ে গেল।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy