—শাটারস্টক
দেশের বাজারে দাম উঠছে না কালচে সবুজ রঙের বড় পাতার দার্জিলিং ‘অর্থোডক্স’ চায়ের। গত বছরের নিরিখে এ বছর নিলামে ওই দার্জিলিং চায়ের দাম কমেছে ১০০ টাকারও বেশি। দেশের বাজারে নিলামে দার্জিলিং চায়ের দাম বেশি উঠছে না বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। দার্জিলিং চা পাতাকে আগে এমন দাম-সঙ্কটের মুখে পড়তে হয়নি বলেই অভিমত চা শিল্প সংস্থাগুলির।
গত সপ্তাহে বিন্নাগুড়িতে টি অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার ডুয়ার্স শাখার বার্ষিক সাধারণ সভা ছিল। সেখানে তাবড় চা সংস্থা এবং চা পর্ষদের প্রতিনিধিদের সামনেই দার্জিলিং চা পাতার দাম সঙ্কট নিয়ে আলোচনা হয়। সংস্থাগুলির দাবি, বছর দুয়েক আগে পাহাড়ে টানা ধর্মঘটের জেরে দার্জিলিং চায়ের বাজার হাতছাড়া হয়েছে, এখন দামও কম মিলছে। চা পর্ষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান অরুণকুমার রায় স্পষ্ট জানিয়েছেন এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে চা প্রস্তুতকারীদেরই।
অরুণকুমার রায় বলেন, “চা পর্ষদ দার্জিলিং চায়ের ব্র্যান্ডিং করেছে। সেটাকে যত্ন করে রক্ষা করতে হবে।’’
চা সংস্থাগুলি জানিয়েছে ২০১৮ সালে উত্তর ভারতে নিলামে দার্জিলিং চা প্রতি কেজি ৪৫২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ২০১৯ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত উত্তর ভারতে দার্জিলিং চা নিলাম হয়েছে ৩৩৯ টাকা কেজি দরে। এক বছরে কেজি প্রতি ১১৩ টাকা করে কম দর উঠেছে দার্জিলিং চায়ের। কেন দাম কমেছে তার ব্যাখ্যাও দিচ্ছেন উৎপাদকরা।
চা মালিকদের সংস্থা ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান নয়নতারা পালচৌধুরী বলেন, “দার্জিলিং চা কিনে নানা ভাবে মিশিয়ে বা ‘ব্লেন্ড’ করে চা বিক্রেতা সংস্থাগুলি বিক্রি করে। ২০১৭তে দার্জিলিঙের স্থানীয় কারণে বেশ কয়েকমাস চায়ের জোগান না আসেনি। হয়তো সেই সময়ে ‘ব্লেন্ড’ করার জন্য চা বিক্রেতা বিকল্প পাতা খুঁজে নিয়েছে। তাই হয়তো চাহিদা কমেছে, দামও কমেছে।” ২০১৭তে তিন মাসেরও বেশি বন্ধ হয়েছিল। তার জেরে ফার্স্ট এবং থার্ড ফ্লাশ দার্জিলিং চা বাজারে আসেনি। বন্ধ ওঠার পরেও চায়ের উৎপাদন তলানিতে ঠেকেছিল দার্জিলিঙে। সেই ক্ষতি বইতে হচ্ছে বলে চা শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy