মায়ের সঙ্গে ছেলে প্রলয়। নিজস্ব চিত্র
ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। সে কারণে ঠাঁই মেলেনি শ্বশুর বাড়িতে। নিজের ও ছেলের পেট চালাতে যেতে হয় রান্নার কাজ করতে। কিন্তু মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেকে রেখে বেরবেন কী ভাবে। তাই বাধ্য হয়ে বারো বছরের ছেলেকে শিকলে বেঁধে বেরিয়ে পড়তে কাজে। এমনই অসহায় দিন কাটছে শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি সংলগ্ন শান্তিপাড়ার বাসিন্দা পিঙ্কি রায় ও তাঁর ছেলের।
জন্মের পর থেকে ছেলে প্রলয় স্বাভাবিক থাকলেও পরে সে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। শ্বশুরবাড়ি থেকেও বের করে দেওয়া হয় তাঁদের। তাই পেট চালাতে বাড়ি বাড়ি রান্নার কাজ করেন পিঙ্কি। কিন্তু তাতে পেটের সংস্থান হলেও চিকিৎসার খরচ জোটে না।
পিঙ্কির কথায়, ‘‘অনেক জায়গায় চিকিৎসা করানো হয়েছে, কিন্তু কিছু লাভ হয়নি। চিকিৎসকরা বলেছেন ভিনরাজ্যে চিকিৎসা করালে হয়তো সুস্থ হতে পারে। কিন্তু টাকা কই যে চিকিৎসা করাব।’’ আর্থিক সাহায্য পেলে ছেলের চিকিৎসা করানো সম্ভব বলেই জানিয়েছেন তিনি। আপাতত সেই আশাতেই দিন গুনছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy