প্রতীকী ছবি
ইয়েস ব্যাঙ্কের চেক ক্লিয়ারিং বন্ধ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সঙ্গে সব ব্যাঙ্ককে নোটিস দিয়েছিল এই ব্যাঙ্কের চেক ক্লিয়ারিং না করতে। আর তাতেই সহায়ক মূল্যে ধান কেনা বন্ধ করেছে খাদ্য দফতর। রাজ্যের খাদ্য দফতরের পক্ষ থেকে ইয়েস ব্যাঙ্কের চেক দিয়ে ধান কেনা হত। দার্জিলিং জেলায় খাদ্য দফতর ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা এখনও পূরণ হয়নি। ইয়েস ব্যাঙ্কের চেক বন্ধ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। কিছু চাষিও ধান বিক্রিতে সমস্যায় পড়েছেন।
জেলা খাদ্য দফতর সূত্রে বলা হয়েছে, চলতি মরসুমে তাদের ১০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি ধান কেনা বাকি রয়েছে। বর্তমানে ইয়েস ব্যাঙ্কের বদলে অন্য একটি ব্যাঙ্কের চেক দিয়ে ধান কেনা শুরু করেছে দফতর। কিন্তু এজেন্সিগুলি প্রথম থেকে ইয়েস ব্যাঙ্কের চেক দিয়ে লেনদেন করায় তাঁরা কিছুটা সমস্যায় পড়েছিলেন বলে দাবি। হঠাৎ করে সেই ব্যাঙ্কের চেক বন্ধ হওয়ায় তাঁরাও ধান কেনা বন্ধ করেন।
জেলায় কত জন চাষি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করে ইয়েস ব্যাঙ্কের চেক ভাঙাতে পারেননি, তার কোনও পরিসংখ্যান অবশ্য জেলা খাদ্য দফতরে কাছে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছেন দার্জিলিং জেলা খাদ্য নিয়ামক শুভাশিস পালিত। তিনি জানিয়েছেন, সহায়ক মূল্যে ধান কিনতে তাঁরা বেশ কিছু দিন থেকে অন্য একটি ব্যাঙ্কের চেক দিচ্ছেন। ইয়েস ব্যাঙ্কের চেক কেউ না ভাঙিয়ে থাকলে, বর্তমানে তা ভাঙিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন দফতরের পদস্থ কর্তারা। আরও জানিয়েছেন, সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি চেকের টাকা সকলেই পাবেন। শুভাশিসবাবু বলেন, ‘‘মহকুমার চাষিদের কারও কাছে সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রিতে ইয়েস ব্যাঙ্কের চেক রয়েছে কিনা, তা দেখা হচ্ছে। চেক সমস্যার কারণে এজেন্টরা ধান কেনা বন্ধ করেছেন। ফলে তাদের ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে কিছুটা সংশয় দেখা দিয়েছে।’’ তিনি জানিয়েছেন, এর মধ্যেই অবশ্য গত বছরের থেকে অনেক বেশি ধান কেনা হয়ে গিয়েছে।
গত বছর দেরিতে ধান কেনা শুরু করায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। পরে সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে বোরো ধানও কিনেছিল জেলা খাদ্য দফতর। কিন্তু এ বছর এখনও চাষিদের একাংশের ঘরে আমন ধান রয়েছে। নতুন করে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু না হলে এক দিকে বোরো চাষিরা সমস্যায় পড়বেন, অন্য দিকে ঘরে আমন ধান থাকা চাষিদেরও একাংশ ফঁড়েদের কাছে তা বিক্রি করতে বাধ্য হবেন বলে দাবি চাষিদের একাংশের।
জেলায় ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল ৬০ হাজার মেট্রিক টন। চাষিদের ঘরে আমন ধান নেই বলে জেলা খাদ্য দফতকরের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy