Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Flood

ফসল বাঁচাতে চাষিরাই রিং বাঁধ গড়লেন

সেচ দফতর ও স্থানীয় সূত্রে খবর, চাঁচল ২ ব্লকের চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নওদাপাড়া কালীমন্দির ও নওদাপাড়া আমবাগানের পাশ দিয়ে বুধবার দুপুর থেকেই নদীর জল ঢুকতে শুরু করে।

দুর্গত: মথুরাপুরে প্লাবিত ঘরদোর, রাস্তা। নিজস্ব চিত্র

দুর্গত: মথুরাপুরে প্লাবিত ঘরদোর, রাস্তা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
চাঁচল শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২০ ০২:২২
Share: Save:

মালদহে মহানন্দার জলস্তর আরও বাড়ল। ফসল, রাস্তা, ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে চাঁচল ১, ২ ও রতুয়া ২ ব্লকের একাধিক এলাকায়। চাঁচল ২ ব্লকের চন্দ্রপাড়ায় দেখা গিয়েছে অন্য ছবি। ফসল বাঁচাতে সারা রাত ধরে স্বেচ্ছাশ্রমে ছোট রিং বাঁধ তৈরি করেছেন চাষিরা। বারবার রিং বাঁধ তৈরির আবেদন জানালেও পঞ্চায়েত, প্রশাসন গুরুত্ব দেয়নি বলে অভিযোগ। রিং বাঁধ দিয়ে চন্দ্রপাড়ার ১১টি মৌজার ফসল আপাতত বাঁচলেও প্লাবিত হয়েছে চাঁচল ১ ব্লকের গালিমপুর, যদুপুর, মথুরাপুর, ভবানীপুরের মতো বহু এলাকা। আমন ধান, আনাজের খেত ডুবেছে। জল ঢুকেছে ঘরেও। এখনও সব এলাকায় ত্রাণ মেলেনি বলে ক্ষোভ বাড়ছে।

বৃহস্পতিবার বন্যাদুগর্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে একই অভিযোগ তোলেন মালতীপুরের বিধায়ক আলবেরুনি জুলকারনাইন। যদিও ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।বিধায়ক বলেন, ‘‘একে করোনা পরিস্থিতি, তার উপরে বন্যার জেরে এলাকায় শুধু হাহাকার। সামান্য কয়েক জন ছাড়া অধিকাংশই ত্রাণ পাননি। দ্রুত যাতে ওঁরা ত্রাণ পান তা প্রশাসনকে দেখতে বলেছি।’’সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে মহানন্দার জলস্তর দাঁড়িয়েছে ২১.৬৭ মিটারে। যা বিপদসীমা থেকে ৬৭ সেন্টিমিটার বেশি। ফুলহারের জল কমলেও বিপদসীমার উপর দিয়েই বইছে। ফলে ফুলহারের জলে প্লাবিত হরিশ্চন্দ্রপুর ও রতুয়ার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।

সেচ দফতর ও স্থানীয় সূত্রে খবর, চাঁচল ২ ব্লকের চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নওদাপাড়া কালীমন্দির ও নওদাপাড়া আমবাগানের পাশ দিয়ে বুধবার দুপুর থেকেই নদীর জল ঢুকতে শুরু করে। এর পরেই ফসল বাঁচাতে নিজেরাই রাত জেগে উঁচু বাঁধ তৈরি করেন চাষিরা।স্থানীয় চাষি ভূপেন থোকদার, সাজ্জাদ আলিরা বলেন, ‘‘নদীর জল বাড়লেই দুটি জায়গা দিয়ে জল জমিতে ঢোকে। সে জন্য সেখানে উঁচু রিং বাঁধের দাবি জানালেও ফল হয়নি। বাধ্য হয়ে নিজেরাই তা করেছি।’’ চাঁচল ২ বিডিও অমিতকুমার সাউ বলেন, ‘‘ওঁরা খুব ভাল কাজ করেছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ১০০ দিনের প্রকল্পে ওই দুটি জায়গায় স্থায়ী ভাবে রিং বাঁধ করার বিষয়টি দেখা হবে।’’ চাঁচলের মহকুমাশাসক সব্যসাচী রায় বলেন, ‘‘ত্রাণ বিলি শুরু হয়েছে। দুর্গতরা প্রত্যেকেই ত্রাণ পাবেন।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Chanchol Ring Dam Flood Maldah Flood
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy