প্রতীকী ছবি।
আরও পিছিয়ে গেল চার লেনের পূর্ব-পশ্চিম মহাসড়কের শেষ হওয়ার সময়সীমা। শিলিগুড়ি লাগোয়া ঘোষপুকুর থেকে জলপাইগুড়ি হয়ে আলিপুরদুয়ারের সলসলাবাড়ি পর্যন্ত ১৫৫ কিলোমিটার পথেই শুধু সড়কের কাজ থমকে রয়েছে বলে দাবি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের।
এই পুরো অংশকে তিনটি ভাগ করে কাজ শুরু করেছিল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। প্রথম অংশ ঘোষপুকুর থেকে ধূপগুড়ি—এই অংশের কাজ ২০১৯ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল। জমি জটের গেরোয় তা হয়নি। পরে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, চলতি বছরের মার্চের মধ্যে কাজ শেষ হবে। এখন তারও সম্ভাবনা নেই বলে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে। শুক্রবার জলপাইগুড়ির বিভাগীয় কমিশনার, উত্তরবঙ্গের তিন জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে জলপাইগুড়িতে বৈঠক করেছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষের লক্ষ্যমাত্রা মার্চ থেকে বাড়িয়ে ডিসেম্বর ধরা হয়েছে। অর্থাত সড়ক তৈরির সময়সীমা পিছিয়ে গেল আরও প্রায় ৯ মাস। একমাত্র উত্তরবঙ্গ ছাড়া দেশের আর কোনও প্রান্তে এই মহাসড়কের কাজ বাকি নেই বলে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দাবি।
জলপাইগুড়ির বিভাগীয় কমিশনার অজিতরঞ্জন বর্ধন বলেন, “ক্ষতিপূরণ বৃদ্ধি নিয়ে যে মামলা চলছে সেগুলি দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে। যেখানে এখনও জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়নি সেখানে সমীক্ষার কাজ শুরু করে দেওয়া হবে। যত দ্রুত সম্ভব সড়কের কাজ শেষ করাই লক্ষ্য।”
জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় বেশ কিছু অংশে জমিজট হয়ে রয়েছে। দু’ধরনের সমস্যা রয়েছে। কোথাও জমি অধিগ্রহণ হয়েছে কিন্তু জমিদাতারা ক্ষতিপূরণ বৃদ্ধির দাবিতে মামলা করেছেন। আবার কোথাও জমি অধিগ্রহণ করতেই বাধা দিয়েছেন জমিদাতারা। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দাবি, কবে জমির সমস্যা মিটবে তার অপেক্ষায় বসে থাকলে সড়কের কাজ সম্পূর্ণ করা যাবে না। কারণ যারা কাজের বরাত পেয়েছে তারা পুরনো পরে কাজ করতে চাইবেন না। সে ক্ষেত্রে নতুন করে টেন্ডারের প্রশ্ন আসবে। কেন্দ্রীয় বরাদ্দ ফিরে গেলে সেই বরাদ্দকে আবার ফিরিয়ে আনাও যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ এবং বহু কাঠখড় পোড়াতে হবে। এ দিন জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসকদের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যে সব এলাকায় এখনও অধিগৃহিত জমিতে দখল রয়েছে সেগুলি উচ্ছেদ করা হবে।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের এ রাজ্যের মুখ্য জেনারেল ম্যানেজার আরপি সিংহ বলেন, “পুরো জমিই আমাদের হাতে চলে এসেছে। ক্ষতিপূরণের হার নিয়ে আপত্তি রয়েছে। প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রস্তাবিত সড়কের এলাকায় প্রথমেই দখল উচ্ছেদ করা হবে। ক্ষতিপূরণ বৃদ্ধির দাবিতে যেখানে মামলা হয়েছে সেখানেও উচ্ছেদ হবে। পরে আদালত যে নির্দেশ দেবেন তাই মানা হবে।” এই পদক্ষেপ ছাড়া সড়কের কাজ চালিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলে দাবি। আগামী ডিসেম্বরে এই অংশের কাজ শেষ হবে বলে ধরা হয়েছে। পরের দুই অংশ অর্থাত ধূপগুড়ি থেকে ফালাকাটা এবং ফালাকাটা থেকে সলসলাবাড়ি পর্যন্ত সড়কের ভবিষ্যত আপাতত অন্ধকারেই রয়েছে বলে দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy