ফাইল চিত্র।
টেট-(টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট) এর প্রস্তুতিতে যা-যা প্রয়োজন তার তালিকা ধরে মিলিয়ে নেওয়ার পর্ব চলল শনিবার দিনভর। আজ রবিবার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার মিলিয়ে প্রায় ৫৬ হাজার পরীক্ষার্থী টেটে বসতে চলেছেন। পরীক্ষা নেওয়া হবে পঞ্চাশটিরও বেশি কেন্দ্রে। পরীক্ষার সময় যাতে কোনও ভাবে নকল না করা যায়, প্রস্তুতির সময়ে তার উপরেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হল। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করে দেখলেন প্রতিনিধিরা। যে সংস্থা পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে তারা সব কেন্দ্রের সিসি ক্যামেরা যাচাই করে দেখেছে। প্রতি জেলায় খোলা হয়েছে পৃথক কন্ট্রোল রুম। সেই কন্ট্রোল রুম থেকে ছবি যাবে রাজ্যের মূল কন্ট্রোল রুমে। মূল কেন্দ্র থেকে ইচ্ছে করলেই যে কোনও কেন্দ্রের ফুটেজ পাওয়া যাবে। তিন জেলাতেই টেটের জন্য বাড়তি পুলিশ বাহিনী মজুত থাকছে। যে-যে শহরে পরীক্ষা হবে সেখানে যেন যানবাহন চলাচলে সমস্যা না হয় তা দেখতেও নির্দেশ এসেছে। মোড়ে মোড়ে বাহিনী মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে, কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ আলিপুরদুয়ার জেলায় মোট ২৮টি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রাথমিক টেটের পরীক্ষার্থী ১১,৩৯১ জন। পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়াও পর্ষদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। উত্তরবঙ্গে পরিবহণের দায়িত্ব প্রধানত উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা তথা এনবিএসটিসির।
কোচবিহার হল এনবিএসটিসির সদর। পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতে যাতে অসুবিধা না হয় সে ব্যাপারে পুলিশ, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে পর্যালোচনা করতে কোচবিহারে বৈঠকে বসেছিলেন এনবিএসটিসি কর্তারা। কোচবিহার জেলায় অন্তত ৫০টি বাস ‘পরীক্ষা স্পেশাল’ হিসেবে চালাবে এনবিএসটিসি। এ ছাড়া, আরও ৭০টি ‘পরীক্ষা স্পেশাল’ চালান হবে উত্তরবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতে। চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “পরীক্ষা স্পেশাল হিসেবে শতাধিক বাস নামান হবে। কোন ডিপোয়, কারা ওই তদারকি করবেন তা নিয়ে রূপরেখাও তৈরি করা হয়েছে।” কোচবিহার জেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। মোট ৬৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে। তিন জেলারই পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ মিটার এলাকা জুড়ে সকাল ৮টা থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।
জলপাইগুড়ি জেলায় ৩৮টি কেন্দ্রে ১৫,০০০-এর বেশি পরীক্ষার্থী রয়েছেন। কেন্দ্রে ঢোকার আগে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করা হবে। সব কেন্দ্রেই বায়োমেট্রিক হাজিরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) শ্যামলচন্দ্র রায় বলেন, ‘‘পরীক্ষা নির্বিঘ্নে যাতে সম্পন্ন হয়,সে দিকে নজর রেখেই সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy