যুবক-যুবতী নিগ্রহের অভিযোগ ঘিরে শিরোনামে চোপড়া। —ফাইল চিত্র।
চোপড়া-কাণ্ডে ইতিমধ্যেই দু’টি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) চর্চায়। যুবক-যুবতীকে নির্যাতনের প্রথম প্রকাশ্যে আসা ঘটনার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবিকে। মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে জেসিবির ‘সঙ্গী’ আমিরুল ইসলামকে। তবে গত কয়েক দিনের তুলনায় বুধবার তেমন লোকজনের ভিড় নজরে পড়েনি সংশ্লিষ্ট কোনও গ্রামে। জায়গায় জায়গায় জটলাও দেখা যায়নি। এলাকার অনেককেই সকাল থেকে চাষের কাজে দেখা গিয়েছে। অন্যদের প্রতিদিনের মতোই নানা কাজে। যে দিগলগাঁও গ্রাম শিরোনামে উঠে এসেছে, তা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে।
এর পাশাপাশিই, ‘ক্লোজ়ড-সার্কিট ক্যামেরা’ লাগানো হয়েছে নির্যাতিত যুবক-যুবতীদের বাড়িতে। এলাকায় সব রকমের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে পুলিশ পিকেট বসেছে। তবে সে সব নিয়ে তেমন চর্চা বা আলোচনা দেখা যায়নি এ দিন এলাকায়।
দিগলগাঁও গ্রামে এক যুবক-যুবতীকে মারধরের ভিডিয়ো সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। তার পরে, রবিবার থেকে এলাকা জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। সে রাতেই গ্রেফতার করা হয় ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবিকে। তার গ্রেফতারের পরে ‘নির্যাতিত’ যুবক-যুবতীর এলাকায় ভিড় জমতে শুরু করে। গত কয়েক দিন ধরেই বাড়িতে পুলিশ পিকেট। তবে বাড়ির বেড়ার ফাঁক দিয়ে কিংবা বাড়ির গেটে উঁকিঝুঁকি মারতে দেখা গিয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেককেই। এমনকি, বাড়িতেও ভিড় করেছিলেন পাড়ার লোকজন। মঙ্গলবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস গ্রামে আসবেন বলে খবর ছড়াতেই এসেছিলেন আশপাশের গ্রামের বহু মানুষ, যদিও তিনি আসেননি। এ সবের মধ্যেই বুধবার থেকে ক্রমে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে গ্রাম।
এ দিন স্থানীয় এক যুবক বলেন, ‘‘শুনেছি, ওঁদের বাড়িতে ক্যামেরা লাগিয়ে দিয়েছে পুলিশ। এখন ওখানে গেলে নানা প্রশ্নের জবাব দিতে হতে পারে। তাই আজ আর যাইনি।’’ কার্যত একই কথা শোনা গিয়েছে এলাকার অনেকের কাছেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy