জলপাইগুড়িতে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ।
জলপাইগুড়িতে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবনের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ। জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরে স্থায়ী ভবনের বরাত পেতে চলেছে একটি নামী সংস্থা। পূর্ত দফতর সূত্রে এমনটাই খবর।
সূত্রের খবর, টেন্ডারে ‘এলওয়ান’ অর্থাত সর্বনিম্ন দর দিয়েছে একটি বহুজাতিক নির্মাণ সংস্থা। টেন্ডারের ফাইল পাঠানো হয়েছে অর্থ দফতরে। সেখানে অনুমোদন পেলে শুরু হবে নির্মাণের কাজ। সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবনের নির্মাণের টেন্ডার নিয়ে এর আগে বারবার হোঁচট খেতে হয়েছে পূর্ত দফতরকে। এ বার সমস্যা কাটিয়ে কাজ শুরুর আশা দফতরের কর্তারা।
বছর দুয়েক আগেও টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সেটি বাতিল করে পূর্ত দফতর। ভবনের নকশা চূড়ান্ত হলেও মাঝেমধ্যেই নানা রদবদল হচ্ছিল। তখন সিদ্ধান্ত হয়, আগে থেকে সামগ্রিক কোনও দর বেঁধে টেন্ডার করা হবে না। সেই মতো গত মে মাসে টেন্ডার ডাকা হলে তাতে মাত্র দু’টি সংস্থা অংশ নেয়। এ দিকে নিয়ম অনুযায়ী, ন্যূনতম তিনটি সংস্থা অংশ না নিলে টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজ করা যায় না। কিন্তু হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চকে বিশেষ কেস হিসেবে দেখিয়েও অর্থ দফতরের ছাড়পত্র পায়নি পূর্ত বিভাগ। নির্মাণে ইচ্ছুক সংস্থাগুলি থেকে ফের দরপত্র চাইতে হয় পূর্ত দফতরকে। তাতে সাড়া দিয়ে চারটি সংস্থা আগ্রহ দেখায়। এদের মধ্যে যে সংস্থা সর্বনিম্ন দর দিয়েছে তারা একটি বহুজাতিক নির্মাণ সংস্থা। বিমানবন্দর, শিল্প ভবন, উড়ালপুল, রাস্তা, জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণ এবং সমুদ্রবন্দর তৈরির অভিজ্ঞতা সংস্থার রয়েছে বলে পূর্ত দফতর সূত্রের খবর। সার্কিট বেঞ্চের প্রেযুক্তিগত খুঁটিনাটি দিক নিয়েও তাঁদের সঙ্গে দফতরের আধিকারিকদের আলোচনা হয়েছে।
পূর্ত দফতরের অধীক্ষ্যক বাস্তুকার সুব্রত হাইত বলেন, “টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে অর্থ দফতরকে পাঠানো হয়েছে। অর্থ দফতরের অনুমোদনের ওপরেই সবকিছু নির্ভর করছে।’’
জলপাইগুড়ির পাহারপুরে হাইকোর্টের স্থায়ী ভবন হবে পাঁচতলার। প্রশাসনিক ভবন, বিচারপতিদের আবাসন পৃথক ভাবে তৈরি হবে। খেলার মাঠ এবং সাড়ে তিনশো দর্শক বসতে পারেন এমন অডিটোরিয়াম তৈরি হবে। স্থায়ী ভবন চত্বরে থাকবে সুইমিং পুলও। ন্যূনতম দশটি এজলাস থাকবে। প্রধান বিচারপতির জন্য পৃথক অফিস তৈরি হবে। এখন জলপাইগুড়ি শহরের স্টেশন রোডে অস্থায়ী ভাবে সার্কিট বেঞ্চের কাজ চলে। মাসে একবার করে বেঞ্চ বসে। একটি ডিভিশন বেঞ্চ এবং তিনটি সিঙ্গল বেঞ্চ আপাতত অস্থায়ী ভবনে বসছে। মাসে গড়পরতা ১৫ দিনের বেঞ্চে যত মামলা হচ্ছে তাতে রেকর্ড রাখার ঘর থেকে শুরু করে প্রশাসনিক নানা কাজেও সমস্যা হচ্ছে বলে দাবি। সেই কারণে হাইকোর্ট প্রশাসন থেকে রাজ্যকে বার্তা দেওয়া হয়েছে দ্রুত স্থায়ী ভবন তৈরির জন্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy