লড়াই: শিক্ষক বা পড়ুয়া। ভাতা পাচ্ছে না কেউ। তবুও বন্ধ হয়নি পড়াশোনা।
৫৭ মাস ধরে শিক্ষকদের ভাতা না মেলার অভিযোগ উঠেছে জলপাইগুড়ি শহরের ‘শিশু শ্রমিক’ স্কুলে। বেতন বন্ধ থাকলেও স্কুলের পঠনপাঠন চালু রেখেছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা। শিশু শ্রমিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাকর্মীরাও বেতন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। ন্যাশনাল চাইল্ড লেবার প্রজেক্টের অধীনে বর্তমানে জলপাইগুড়ি জেলায় ৭টি শিশু শ্রমিক বিদ্যালয় রয়েছে বলে জলপাইগুড়ি শ্রম দফতর সূত্রের খবর।
জলপাইগুড়ি শহরের টাউন স্টেশন সংলগ্ন জয়ন্তীপাড়ার শিশু শ্রমিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৫০ জন। কেন্দ্রীয় শ্রম ও রোজগার মন্ত্রকের আর্থিক সহায়তায় এবং রাজ্য শ্রম বিভাগের অধীনে জাতীয় শিশু শ্রমিক প্রকল্পের অন্তর্গত এই বিদ্যালয়। একজন করে শিক্ষক ও শিক্ষিকা, একজন করণিক ও একজন হাতের কাজ শেখানোর শিক্ষক রয়েছেন এই বিদ্যালয়ে। সাধারণত দরিদ্র শ্রমজীবী পরিবারের ছেলেমেয়েরাই এই স্কুলের পড়ুয়া বলে জানাচ্ছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রতীম চৌধুরী বলেন, ‘‘২০১২ সাল থেকে ৫৭ মাস ধরে বেতন বন্ধ হয়ে রয়েছে। এরপরেও আমরা স্কুল চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের বেঁচে থাকাই আজ প্রায় অর্থহীন।’’ তিনি জানান, সম্প্রতি একবছরের বেতন হাতে পেলেও বাকিটা এখনও তাঁরা পাননি। অভিযোগ, বারবার আবেদন করেও মিলছে না বেতন। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওঁরা মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে ভাতা পান। এখন তা-ও বন্ধ।
এ ছাড়া স্কুলের পড়ুয়ারা মাসে ১৫০ টাকা করে যে আর্থিক অনুদান পেয়ে থাকে সেটাও বন্ধ হয়ে রয়েছে বলে দাবি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। বেতন না মেলার বিষয়টি স্বীকার করেননি জলপাইগুড়ি জেলা উপ শ্রম আধিকারিক পার্থ বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘৫৭ মাস ধরে বেতন মিলছে না এই তথ্য আমার জানা নেই। ৬ মাস পরপর শ্রমিক স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের বেতনের টাকা দেওয়া হয়। হয় তো এক বছরের বকেয়া থাকতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy