উদ্ধার করা কচ্ছপ হাতে সুভাষ। নিজস্ব চিত্র।
বানারহাট থেকে নাগরাকাটাগামী নির্জন ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে তখন দ্রুত গতিতে ছুটে চলেছে একের পর এক গাড়ি। সেই রাস্তার উপর দিয়ে ছোট ছোট পায়ে রাস্তা পারাপার করছিল বিপন্ন প্রজাতির কচ্ছপ। গাড়ির চাকায় পিষ্ট হতে হতে অল্পের জন্য বেঁচে যাচ্ছিল বার বার।
মঙ্গলবার রাতে সেই সময় রাস্তার পাশ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন দেবপারা গুদাম লাইনের বাসিন্দা সুভাষ বরাইক। তিনি দেখতে পান কচ্ছপটিকে। উদ্ধার করে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন তাকে। উদ্ধার হওয়া কচ্ছপটি ইন্ডিয়ান ফ্ল্যাপশেল প্রজাতির। বুধবার সকালে উদ্ধার করা কচ্ছপটি বন দফতরের কাছে পৌঁছে দেন সুভাষ।
বনবিভাগ সূত্রের খবর, এই প্রজাতির কচ্ছপ পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, বাংলাদেশ এবং মায়ানমারে পাওয়া যায়। কচ্ছপটিকে বাঁচানোয় সুভাষকে ধন্যবাদ জানিয়েছে উত্তরবঙ্গের পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ন্যাস। ন্যাসের কর্তা নফসর আলি বলেন, ‘‘যে ভাবে বন্যপ্রাণীর প্রতি ভালোবাসা দেখিয়ে এক জন চা শ্রমিক মৃত্যুর মুখ থেকে কচ্ছপকে বাঁচিয়েছেন তা নজির।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy