বিকেলে সামান্য ভিড়।নিজস্ব চিত্র
পুজোর আগে শেষ রবিবার বাজারে ক্রেতারা ভিড় করবেন বলে আশা করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু মন্দা আর বর্ষার জোড়া ফলায় এ দিনও বিক্রি মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। রবিবার সকাল থেকে প্রায় দিনভর অল্প-বিস্তর বৃষ্টি হয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, রবিবার দুপুর পর্যন্ত সেভাবে ক্রেতার দেখাই মেলেনি। বিকেলের পরে বিধান মার্কেট, শেঠ শ্রীলাল মার্কেট এবং হকার্স কর্নারে একটু লোকজন বাড়ে। কিন্তু পুজোর বাজারের ভিড়ের ধারেকাছে তা আসে না বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, শনিবার থেকেই উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। তা সোমবার পর্যন্ত চলার কথা।
হকার্স কর্নারের একটি বস্ত্র বিপনির কর্মী সঞ্জিত সাহা জানালেন, গত বছর পুজোর আগের রবিবারে প্রায় ৮ হাজার টাকার বিক্রি হয়েছিল। এ বার তা ২ হাজারের কাছাকাছি। তিনি বলেন, ‘‘একে বাজার খারাপ। বৃষ্টির জন্য আরও ক্ষতি হয়েছে।’’ এ দিন ভিড় দেখা যায়নি বিধান মার্কেট এবং শেঠ শ্রীলাল মার্কেটেও। বিধান মার্কেটের জুতো ব্যবসায়ী কিসান আগরওয়াল বলেন, ‘‘কিছু গ্রাহক পেয়েছি। পুজোর মাল তুলতে ধার করতে হয়েছে। তা শোধ করতে পারব কিনা সন্দেহ রয়েছে।’’ পুজোর সময় সাধারণত বিধান মার্কেট ও হংকং মার্কেটে জুতোর ক্রেতার ভিড় থাকে। ব্যবসায়ীদের দাবি, সারাদিন ধরে অল্পস্বল্প বৃষ্টি হয়েছে। তার জন্য অনেকেই বাজারের জলকাদায় ঢুকতে চাননি।
শালুগাড়ার বাসিন্দা শম্পা দত্তের দুই ছেলেমেয়ে। তাঁর স্বামী কাজ করেন একটি বেসরকারি সংস্থায়। এ দিন তিনি একাই এসেছিলেন বাজারে। বললেন, ‘‘বৃষ্টি এলে সব পণ্ড। হাতের সামনে যা পেয়েছি, তাই দিয়েই সারতে হয়েছে।’’ বাজারের বড় বড় ঝাঁ চকচকে দোকানগুলিতে গ্রাহক আরও কমেছে বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। শ্রীলাল মার্কেটের একটি বস্ত্র বিপণির তরফে ওমপ্রকাশ গুপ্ত বলেন, ‘‘একটু উচ্চবিত্ত শ্রেণির গ্রাহক আমাদের দোকানে আসেন। কিন্তু বৃষ্টির জন্য যা যানজট, কাদা তাতে অনেকেই আসেননি।’’ এ দিন শপিং মলগুলিতেও তুলনায় লোক সমাগম কমেছে বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy