Advertisement
E-Paper

গাছের নীচে বসে পরীক্ষা

ক্লাসঘরে বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন শতাধিক পরীক্ষার্থী। কয়েক জন পরীক্ষা দিচ্ছেন কলেজ চত্বরের গাছতলায়।

মগ্ন: পরীক্ষা দিতে গাছতলায়। কালিয়াচকের কলেজে। নিজস্ব চিত্র

মগ্ন: পরীক্ষা দিতে গাছতলায়। কালিয়াচকের কলেজে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২০ ০৬:৫১
Share
Save

অনলাইনেও ভরসা সেই ‘অফলাইনই’। কোথাও কলেজে ক্লাসঘর, কোথাও তার গাছতলায় ভিড় করে বসেই পরীক্ষা দিলেন পরীক্ষার্থীদের অনেকে। সোমবার স্নাতকের চূড়ান্ত বর্ষের লিখিত পরীক্ষার প্রথম দিনই ভিড় দেখা গেল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা মালদহ ও দুই দিনাজপুরের অধিকাংশ কলেজেই। ইন্টারনেট দুর্ভোগ, বন্যা পরিস্থিতিতে অনলাইনে পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও সামান্য দু্র্ভোগ হলেও পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবেই হয়েছে বলে জানিয়েছেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক বিশ্বরূপ সরকার।

মালদহ

ক্লাসঘরে বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন শতাধিক পরীক্ষার্থী। কয়েক জন পরীক্ষা দিচ্ছেন কলেজ চত্বরের গাছতলায়। সোমবার এমনই ছবি দেখা গিয়েছে মালদহের কালিয়াচকের সুলতানগঞ্জ কলেজে। করোনা-আবহে অনলাইনে বাড়িতে বসেই পরীক্ষা দেওয়ার নিয়ম জারি করেছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। করিমা সুলতানা, নরত্তাম প্রামাণিক বলেন, ‘‘দুর্বল ইন্টারনেট পরিষেবার জন্য প্রশ্নপত্র ডাউনলোড এবং উত্তরপত্র আপলোড করতে সমস্যা হচ্ছে। তাই ঝুঁকি না নিয়ে কলেজে গিয়েই পরীক্ষা দিয়ে উত্তরপত্র জমা দিয়েছি।’’ কালিয়াচক কলেজের অধ্যক্ষ নাজিবর রহমান বলেন, ‘‘কয়েক জন পরীক্ষার্থী কলেজে চলে আসেন। তাঁদের ভবিষ্যতের কথা ভবে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।’’ এমনই ছবি দেখা গিয়েছে, গাজল কলেজ, মালদহ মহিলা কলেজও।

উত্তর দিনাজপুর

ইন্টারনেট পরিষেবা দিনভর বিপর্যস্ত রইল উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়েই। গ্রামগঞ্জের পাশাপাশি বেহাল ইন্টারনেট পরিষেবার জেরে নাজেহাল হলেন স্নাতকের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উত্তর দিনাজপুর জেলায় পাঁচটি কলেজ রয়েছে। আর প্রতিটি কলেজেই সমস্যায় পড়তে হয় পরীক্ষার্থীদের। নির্ধারিত সময়ে উত্তরপত্র জমা না দিতে পেরে দিশাহারা হয়ে পড়েন পরীক্ষার্থীরা। এমন অবস্থায় কলেজে গিয়ে উত্তরপত্র জমা দেন তাঁরা। আর তাতেই উধাও হয় সামাজিক দূরত্বের ছবি। অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীরই মুখে মাস্ক ছিল না। কালিয়াগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ পীযূষকুমার দাস বলেন, ‘‘এ দিন জেলা জুড়েই ইন্টারনেট সংযোগ খারাপ থাকায় সমস্যা তৈরি হয়। আমরা অধ্যাপকদের হোয়াটস অ্যাপ এবং অফলাইনেও প্রচুর উত্তরপত্র জমা নিয়েছে।’’

দক্ষিণ দিনাজপুর

অনলাইনে পরীক্ষায় হোঁচট খেলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের পরীক্ষার্থীদের অনেকেই। তাই কেউ উত্তরপত্র হাতে নিয়ে গেলেন কলেজে, কেউ আবার প্রশ্নপত্র ডাউনলোড করতে ভিড় করলেন এলাকার সাইবার ক্যাফেতে। সমস্যার কথা ভেবে জেলার কলেজগুলি অফলাইনে উত্তরপত্র জমা নেওয়ার আশ্বাস দিলে চিন্তা কমে পরীক্ষার্থীদের। বুনিয়াদপুর কলেজের শিক্ষিকা তনিমা দত্ত বলেন, ‘‘একসঙ্গে সবাই অনলাইনে উত্তরপত্র জমা দিতে গেলে সার্ভারের সমস্যা হতে পারে জেনে আমরা পরীক্ষার্থীদের বলে দিয়েছিলাম তারা যেন কলেজে অফলাইনে তা জমা করে। আমরাই তা অনলাইনে আপলোড করে দেব। প্রায় ৬০ শতাংশ পরীক্ষার্থীই অফলাইনে উত্তরপত্র জমা করেছে।"

তথ্য সহায়তা: অভিজিৎ সাহা, গৌর আচার্য, নীহার বিশ্বাস

Online Examination Examination Internet Problem North Bengal

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}