স্টেশনে পুলিশি টহল।নিজস্ব চিত্র
স্টেশনের বাইরে নতুন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কয়েক জন। স্টেশনে তখন দাঁড়িয়েছিল কাটিহারগামী মালদহ-কাটিহার প্যাসেঞ্জার ট্রেন। অভিযোগ, হঠাৎই বিক্ষোভকারীরা স্টেশনে ঢুকে ট্রেনে হামলা চালান। কেউ কেউ ট্রেন লক্ষ করে পাথর ছুড়তে শুরু করে। কেউ আবার ইঞ্জিনের সামনে গিয়ে লাইনে খড় ফেলে আগুন জ্বালায়। টিকিট সংরক্ষণ কেন্দ্রে ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় চালক-সহ বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন।
পরে স্টেশন ম্যানেজার রাজদীপ রাম বলেন, ‘‘রেলের প্রচুর সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।’’ স্টেশনের কম্পিউটার সংরক্ষণ কেন্দ্রের বুকিং ক্লার্ক নুরজাহান বানু ঘটনার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, ‘‘হঠাৎ করেই একদল বিক্ষোভকারী ঢুকে সব ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে। আমি প্রাণ বাঁচাতে আলমারিতে ঢুকে পড়ি।’’ রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এর পরে একটি মালগাড়ি সেখানে এলে তার ইঞ্জিনেও আগুন লাগাতে যায় কয়েক জন। ততক্ষণে অবশ্য পুলিশ এসে গিয়েছে। তারা কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের হটানোর চেষ্টা করে। তাতেও সবাইকে হটানো যায়নি। শেষে সন্ধেয় কাটিহার থেকে আরপিএফ বাহিনি হরিশ্চন্দ্রপুরে আসে। রাতে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, আরপিএফ মোতায়েন রয়েছে।
রেল সূত্রে বলা হয়, টিকিট সংরক্ষণ কেন্দ্র-সহ স্টেশনের ট্রেন চলাচলের সিস্টেম ভেঙে তছনছ করে দেওয়ায় ওই রুটের একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। রাধিকাপুর এক্সপ্রেস, হাটেবাজারে এক্সপ্রেস, তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস বাতিল হওয়ায় দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। এই ঘটনা কারা ঘটাল, সেই প্রশ্নে কিন্তু তৃণমূল বা কংগ্রেস, কেউই দায় নিতে চায়নি। দুই দলেরই দাবি, বিক্ষোভকারীরা তাদের কেউ নয়। জেলা তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, ‘‘আমাদের কোনও কর্মসূচি ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে বলেছেন। এমন হলে তো আখেরে বিজেপির হাত শক্ত হবে।’’ হরিশ্চন্দ্রপুরের কংগ্রেস বিধায়ক মোস্তাক আলম বলেন, ‘‘আমরা এ ধরনের বিশৃঙ্খলায় বিশ্বাস করি না। কারা এ সব করেছে, জানি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy