জলপাইগুড়িতে অমৃত ভারত স্টেশনের কাজে বাধা বাসিন্দাদের। জল নিকাশি ব্যবস্থার প্রতিকার চেয়ে ব্যানার হাতে স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: সন্দীপ পাল।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভে থমকে গেল ‘অমৃত ভারত’ প্রকল্পে স্টেশন সম্প্রসারণের কাজ। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণের কাজ চলাকালীন বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এক দল বাসিন্দা। তাঁদের দাবি, প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণের জন্য রেল পাঁচিল তুলছে। এর ফলে, পার্শ্ববর্তী আবাসন এবং বাড়ি থেকে নিকাশির জল বেরোনো বন্ধ হয়ে যাবে।
বাসিন্দাদের বিক্ষোভের জেরে, রেলের কাজ প্রথমে বন্ধ হয়ে যায়। বাসিন্দাদের দাবি, নিকাশি পথ না দিলে রেলের কাজ করতে দেবেন না তাঁরা। এ দিন কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রেল এবং আরপিএফের আধিকারিকেরা এলাকা পরিদর্শনে যান। রেলের তরফে দাবি, রেলের জমিতেই সম্প্রসারণের কাজ হচ্ছে। নিকাশি নর্দমা তৈরির জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রাখা রয়েছে। সেখানে পুরসভা বা কেউ চাইলে, নিকাশি পরিকাঠামো তৈরি করতে পারে। কিছুক্ষণ থমকে থাকার পরে, কাজ শুরু হয় বলে খবর।
স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম দু’প্রান্তেই সম্প্রসারিত হচ্ছে। বর্তমানে দার্জিলিং মেল ট্রেন এখানে পুরোটা প্ল্যাটফর্ম পায় না। সম্প্রসারণের পরে, সে সমস্যা মিটবে বলে দাবি রেলের। রেলের দাবি, তাতে ভবিষ্যতে অন্য দূরপাল্লার ট্রেনও অনায়াসে এই স্টেশনে দাঁড়াতে পারবে। প্ল্যাটফর্মে চলমান সিঁড়িও তৈরি হচ্ছে। এ দিন সকালে আশ্রমপাড়ার দিকে কাজ চলাকালীন বিক্ষোভ শুরু করেন বাসিন্দারা। এত দিন রেলের জমিতে আবাসন ও বাড়ির নিকাশি জল ফেলা হত। রেলের জমিতে নির্মাণ হলে, সে জল কোথায় ফেলবেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ শুরু করেন বাসিন্দারা। কমল দাসের দাবি, ‘‘জলপাইগুড়ি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের রেলের জমিতে একটা নর্দমা ছিল। সে নর্দমাতেও আমরা বাড়ির ব্যবহৃত জল আমরা ফেলতাম। যখন কাজটা শুরু হয়, তখনই আমরা বলেছিলাম নর্দমা করে দিতে। কিন্তু রেল তা শোনেনি।’’
এ দিকে, জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনের আরপিএফ ইনস্পেক্টর বিপ্লব দত্ত বলেন, “সাময়িক কাজ বন্ধ ছিল। তার পরে শুরু হয়েছে।” রেলের এক আধিকারিক বলেন, “যে কাজ পুরসভার করার কথা, সে কাজ রেলকে করতে বলা হয়েছে।” স্টেশনে ‘অমৃত ভারত’ প্রকল্পের উদ্বোধনে হাজির ছিলেন সাংসদ। বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায় বলেন, “অবশ্যই উন্নয়নের কাজ হবে, সে কাজ হবে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে। আমি দিল্লি থেকে ফিরে এলাকায় যাব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy