Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

কাজের বিধায়ক কি? মেপেই ভোটে টিকিট

‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি প্রথমে শুরু করেছিলেন বিধায়কেরা। গ্রামে গ্রামে গিয়ে রাত্রিবাসও করেছিলেন তাঁরা।

—ফাইল চিত্র

—ফাইল চিত্র

অনির্বাণ রায়
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:২৬
Share: Save:

কোনও অনুষ্ঠানে গিয়ে দলীয় বিধায়ক বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন কি? যদি ‘হ্যাঁ’ হয়, তবে কতবার এবং কেন? তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের কাছে এইসব তথ্য চেয়েছেন রাজ্য নেতৃত্ব। একই সঙ্গে জানাতে হবে বিধায়কের গত পাঁচ বছরের কাজের খতিয়ানও। এ ভাবেই বিধায়ক ধরে ধরে মূল্যায়ন করে তার নিরিখেই দেওয়া হতে পারে বিধানসভা ভোটের টিকিট। ভোটের আগে এই রণকৌশল স্থির করে ইতিমধ্যে জলপাইগুড়ির জেলা নেতৃত্বের কাছে জেলায় দলের ছয় বিধায়কের মূল্যায়ন চেয়েছে রাজ্য। দলীয় সূত্রের খবর, মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় পিকে-র টিমের সহযোগিতাও নেওয়া হচ্ছে।

‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি প্রথমে শুরু করেছিলেন বিধায়কেরা। গ্রামে গ্রামে গিয়ে রাত্রিবাসও করেছিলেন তাঁরা। সেই সময়ে জলপাইগুড়ির ছয় বিধায়কের সকলকেই নানা অভিযোগ শুনতে হয়েছিল। চার বিধায়ককে নানা ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তিন বিধায়ককে ঘিরে কম-বেশি বিক্ষোভও হয়েছিল। সেই সময়ে এক বিধায়কের পাঞ্জাবি ধরেও উত্তেজিত জনতা টানাটানি করেছিল বলে দাবি। কেন সেসব হয়েছিল, বিধায়কের উপর কেন রেগে ছিলেন বাসিন্দারা, সবই জেলা নেতৃত্বের কাছে জানতে চেয়েছে দল। এখন বিধায়কদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের যোগাযোগ কতখানি, তা নিয়েও জেলা নেতৃত্বের মন্তব্য জানতে চেয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

জেলার এক তৃণমূল নেতার কথায়, “এ বারের পরিস্থিতি গত বিধানসভার মতো নয়। লড়াই বেশ কঠিন। তাই শুধু একজনকে প্রার্থী করলেই হবে না, পুরো দলকে রাস্তায় নেমে খাটতে হবে। যিনি প্রার্থী হবেন, তাঁর ভাবমূর্তিতেও দাগ থাকলে হবে না।”

মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ভাগে রয়েছে বিধায়ক তাঁর এলাকায় কত রাস্তা তৈরি এবং সংস্কার করাতে পেরেছেন, কতগুলি সেতু হয়েছে। কত লোককে শংসাপত্র দিয়েছেন। এলাকা উন্নয়ন তহবিল কোথায় খরচ হয়েছে, কার সুপারিশে বিধায়ক সেই বরাদ্দ প্রস্তাব করেছিলেন— সব জানতে চেয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। তৃণমূল সূত্রের খবর, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই প্রতি বিধানসভায় সম্ভাব্য কয়েকজন প্রার্থীর নাম ভাসিয়ে দেওয়া হতে পারে। তার আগেই রিপোর্ট চেয়েছে দল।

তবে শেষ সংযোজন হল, বিধায়ক সম্পর্কে পাঠানো রিপোর্টে যেন কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কের প্রভাব না পড়ে, সেই সর্তকবার্তা দেওয়া হয়েছে জেলা নেতাদের। কিন্তু তা কি সম্ভব? গুঞ্জন দলের অন্দরেই।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy