কার্শিয়াংয়ের সভামঞ্চ থেকে উপভোক্তাদের চেক দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
সব ঠিক থাকলে, রাজ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম ‘কনভেনশন সেন্টার’ হতে চলেছে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি শহরে। কলকাতার রাজারহাট-নিউটাউনের বিশ্ববাংলা ‘কনভেনশন সেন্টার’-এর আদলে তৈরি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের পর্যটন ক্ষেত্রে সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে আসতে পারে ৬০০ কোটি টাকার বিনিয়োগও। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে পর্যটন সংক্রান্ত ‘নর্থবেঙ্গল কনক্লেভ’ হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, সেখানে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, পর্যটন সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী-সহ বিভিন্ন দফতরের অফিসারদের উপস্থিতিতে আলোচনায় এই বিষয়গুলি উঠে এসেছে।।
সরকারি সূত্রের খবর, পর্যটন দফতর থেকে নবান্নের শীর্ষস্তরে ‘কনভেনশন সেন্টার’-এর দাবি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আপাতত শহর লাগোয়া বাগডোগরা, মাটিগাড়া, কাওয়াখালি-সহ একাধিক এলাকায় জমির খোঁজ চলছে। পর্যটন দফতরের তরফে জমিটি পছন্দ হওয়ার পরে, সরকারি বরাদ্দ চূড়ান্ত হলেই তা ঘোষণা করা হবে। লোকসভা ভোটের আগে, প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হতে পারে। পর্যটন দফতরের এক যুগ্ম সচিবের কথায়, ‘‘বাগডোগরা বিমানবন্দর যাওয়ার রাস্তায় দফতরের একটি জমি রয়েছে। শিলিগুড়ির বর্তমান মেয়র গৌতম দেব পর্যটন মন্ত্রী থাকাকালীন তা জবরদখলকারীদের থেকে উদ্ধার করেন। সেটিকে কনভেনশন সেন্টারের জন্য ভাবা হয়েছিল। তবে আরও বড় জমির প্রয়োজন। তাই অন্যত্র খোঁজ চলছে।’’
পর্যটন দফতর সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের পর থেকে শিলিগুড়িতে ‘কনভেনশন সেন্টার’ গড়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। প্রথমে শুধু ‘কনভেনশন সেন্টারের’ পরিকল্পনা থাকলেও, পরে তা বদল করা হয়। বিশ্ববাংলার ধাঁচে কনভেনশন সেন্টার, এগজ়িবিশন সেন্টার, অত্যাধুনিক হোটেল মিলিয়ে প্রকল্পের কথা ভাবা হয়েছে। আগামী তিন-চার বছরে শিলিগুড়ি তথা সংলগ্ন এলাকার ‘হসপিটালিটি’ ক্ষেত্রের যা চেহারা হতে চলছে, তাতে ‘কনভেনশন সেন্টার’ দরকার হবে। কলকাতার মতো একাধিক বড় মাপের সরকারি ও বেসরকারি সম্মেলন, অনুষ্ঠান সেখানে হতে পারবে। দফতরের অফিসারেরা জানান, জি ২০ পর্যটন বিষয়ক সম্মেলন শিলিগুড়ির একটি চা পর্যটন রিসর্টে হয়েছিল। তাতে প্রভূত সাড়া মিলেছে। কিন্তু সেখানে কনভেনশন বা অনুষ্ঠান করার ব্যয় অনেকটাই বেশি। তাই সরকারি ভাবে ‘কনভেনশন সেন্টার’ প্রয়োজন।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবারের কনক্লেভ থেকে ইকো বা গ্রিন টুরিজ়মের উপরে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিশেষ করে সিকিমে তিস্তায় হড়পা বানের পর প্রকৃতি, পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে পর্যটন শিল্পের কাজ করার উপর বিশেষ ভাবে নজর দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। গত নভেম্বর মাসেই কলকাতায় হয়ে যাওয়া বিশ্ববঙ্গ সম্মেলন থেকে পর্যটনকে শিল্প হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। এ বার সরকার পর্যটন শিল্পের নতুন নীতি তৈরি করছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নতুন নীতি আসবে। সেখানে পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন নীতি, সরকারি ব্যবস্থার উল্লেখ থাকবে। ‘উৎকর্ষ বাংলা’র মাধ্যমে প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষিদের পর্যটনে কাজে লাগানোর উপরে সরকারি স্তরে জোর দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে কনক্লেভে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy