আলিপুরদুয়ারে সুকান্ত মজুমদার ও দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।
দলের নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও সাংগঠনিক বৈঠকে এলেন না বিজেপির দুই বিধায়ক। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া মোহন শর্মা, দশরথ তিরকে সহ আলিপুরদুয়ার জেলার একঝাঁক নেতাও এ দিন বিজেপির বর্তমান ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির কর্মসূচি এড়িয়ে গিয়েছেন। যে ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছেন বিজেপির জেলা শীর্ষ নেতৃত্ব। অনুপস্থিত দুই বিধায়ক অবশ্য জানিয়েছেন, কলকাতায় স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে ব্যস্ত থাকার জন্যই তাঁরা এ দিনের বৈঠকে থাকতে পারেননি।
শহরের বড়বাজার সংলগ্ন একটি বেসরকারি ভবনে বুধবার দুপুরে সুকান্ত ও দিলীপের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিজেপি। তার পর সেখানেই হয় সাংগঠনিক বৈঠক। বিজেপি সূত্রের খবর, সাংগঠনিক বৈঠকে সাংসদ, বিধায়ক, জেলা কমিটির পদাধিকারী, আমন্ত্রিত সদস্য ও মণ্ডলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের ডাকা হয়। তবে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অবশ্য সকলকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু এই দুই কর্মসূচিতে সকলে আসেন কি না তা নিয়ে বিজেপির জেলা শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশের মনে আগে থেকেই সন্দেহ দানা বেধেছিল।
সূত্রের খবর, এ দিন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরুর আগেই বেসরকারি ভবনে পৌঁছে গিয়েছিলেন মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা। সংবর্ধনা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরে পৌঁছন কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ ওরাওঁ। সংবর্ধনার পর হয় সাংগঠনিক বৈঠক। সেই বৈঠকের একেবারে শেষ লগ্নে পৌঁছন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মণ বা কালচিনির বিধায়ক বিশাল লামা দু’টি কর্মসূচির একটিতেও যোগ দেননি। বৈঠক শেষে দিলীপ ঘোষ অবশ্য বলেন, “ওঁরা কলকাতায় রয়েছেন।” দীপক ও বিশালও জানান, কলকাতায় স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে থাকায় তাঁরা বৈঠকে যেতে পারেননি। সুমন বলেন, “কলকাতা থেকে ট্রেনে করে আলিপুরদুয়ারে ফিরতে একটু দেরি হয়। ফিরেই বৈঠকে যোগ দেই।” আলিপুরদুয়ারের বাইরে থাকায় বৈঠকে ছিলেন না জন বার্লাও।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মোহন শর্মা, দশরথ তিরকে সহ এক ঝাঁক নেতাও এ দিন সুকান্ত ও দিলীপের কর্মসূচি এড়িয়ে যাওয়ায় গেরুয়া শিবিরের অন্দরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে যোগায়োগের চেষ্টা করা হলেও মোহন ফোন ধরেননি। দশরথ বলেন, “দিনহাটা নির্বাচন নিয়ে ব্যাস্ত থাকার জন্যই বৈঠকে যেতে পারিনি। দলকে জানিয়েছি।” বিজেপির জেলা আহ্বায়ক ভূষণ মোদক বলেন, ‘‘ওঁদের এখনও দল কোনও পদ দিতে পারিনি। তাই ওঁরা না-ই আসতে পারেন।’’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত এ দিন বলেন, “যারা গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার সঙ্গে দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন, উপযুক্ত সময়ে তাঁরা ফের বিজেপিতে ফিরে আসবেন।” যার উত্তরে গঙ্গাপ্রসাদ পাল্টা বলেন, “বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের উচিত দিবাস্বপ্ন না দেখে নিজেদের সাংসদ-বিধায়কদের সামলানো।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy