জলপাইগুড়ির আনাজ বাজারে জেলা প্রশাসনের অভিযান। ছবি - সন্দীপ পাল।
খুচরো বাজারের মধ্যে গজিয়ে উঠেছে কৃত্রিম এক পাইকারি বাজার, আলুর দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে অভিযানে গিয়ে এমনিই ছবি ধরা পড়ল প্রশাসনের চোখে। কৃত্রিম বাজারের নিয়ন্ত্রণেই জলপাইগুড়িতে আলুর দাম বেড়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন প্রশাসনের আধিকারিকেরা। আলুর দাম নিয়ে অভিযোগ পেয়ে রবিবার জেলা জুড়ে অভিযান চালায় প্রশাসন। জলপাইগুড়ি শহরের তিনটি বাজারে হানা দেয় প্রশাসন। জ্যোতি থেকে ভুটান আলু সবই অত্যন্ত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, তা ধরা পড়েছে প্রশাসনের কাছেও। দিনবাজারের এক ব্যবসায়ীকে জলপাইগুড়ির মহকুমাশাসক (সদর) তমোজিৎ চক্রবর্তী বলেন, “লাভ-ক্ষতির দায় সাধারণ ক্রেতারা নেবেন না। কোনও ভাবেই বেশি দামে আলু বিক্রি করা চলবে না।” এ দিন থেকে শহরের ছ’টি বাজারে ন্যায্য মূল্যে আলু বিক্রি শুরু করেছে প্রশাসন। খোলা হয়েছে ‘সুফল বাংলা’র স্টল। স্টেশন বাজার, বয়েলখানা বাজার, বউবাজার, শিরীষতলা বাজার, পান্ডাপাড়া বাজারে ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এইসব সরকারি কেন্দ্রে খোলা বাজারে থেকে ঢের সস্তা দরে আলু বিক্রি হয়েছে।
অভিযানের পরেও দিনবাজার, স্টেশন বাজারে জ্যোতি আলু ত্রিশ টাকার বেশি দরে বিক্রি হয়েছে। লাল আলু বিক্রি হয়েছে চল্লিশ টাকার কাছাকাছি দরে। অভিযানে গিয়ে স্টেশন বাজারে প্রশাসনের নজরে এসেছে এক কৃত্রিম পাইকারি বাজার। একবার হিমঘর থেকে আলু বের হয়ে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে যায়। সেখান থেকে খোলা বাজারে আলু যায়। জলপাইগুড়িতে এই বৃত্তের মধ্যে ঢুকে পড়েছে আর একটি বাজার। পাইকারি বাজার থেকে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা বেশিরভাগ আলু কিনে নিচ্ছে বলে অভিযোগ। এই ব্যবসায়ীরা খুচরো ব্যবসায়ীদের ইচ্ছেমতো দর বাড়িয়ে আলু বিক্রি করছে বলে অভিযোগ। মহকুমাশাসক বলেন, “আমরা একাধিক যুক্তি এবং কারণ শুনেছি, সেগুলিতে সন্তুষ্ট হতে পারিনি। আড়তদারদের সঙ্গেও কথা বলেছি। এ বার হিমঘরে হানা দেওয়া হবে। যে ভাবেই হোক আলুর দাম কাউকে বেশি নিতে দেওয়া হবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy