ফাইল চিত্র।
কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই হোটেলের কাচের জানালা দিয়ে বাইরে তুষারপাতের দৃশ্য পুরো জানুয়ারি মাসে দেখতে পাননি পর্যটকরা। দার্জিলিং পাহাড়ে তুষারপাতের সময় বরফের গোলা বানিয়ে প্রিয়জনের দিকে তাক করে ছোড়ার সুযোগও হাতছাড়া হয়েছে তাঁদের। কিন্তু প্রকৃতি এবং সরকার এ বার দুই-ই দরাজ। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে যেমন পাহাড় এবং জঙ্গলের পর্যটন কেন্দ্রগুলি খুলছে, তেমনই শুক্রবার থেকেই ফের পাহাড়ে তুষারপাতের প্রভূত সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তাই এ বার তুষারপাতকেই মূলধন করে নতুন করে পর্যটক টানার প্রচারে নামছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলি।
গত কয়েকদিন থেকেই বিক্ষিপ্ত ভাবে তুষারপাত হয়ে চলেছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে। মঙ্গলবার দুপুরে দার্জিলিংয়ের চটকপুর এলাকায় বেশ কিছুক্ষণের জন্য বরফ পড়ে। বুধবার সকালে টাইগার হিলে তুষারপাত হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের কর্তারা জানান, আগামী শুক্র এবং শনিবার ব্যাপক তুষারপাত হতে পারে দার্জিলিং এবং তার আশপাশেও। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঝঞ্ঝার প্রভাবে উত্তর সিকিমে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জারি হয়েছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘এ বারের ঝঞ্ঝা অনেক বেশি শক্তিশালী। তার প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প টেনে আনছে। দু’দিন পাহাড়ে তুষার এবং সমতলে বৃষ্টি চলবে।’’ তিনি জানান, সমতলের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিও হতে পারে শুক্র এবং শনিবার। একইসঙ্গে দিনের তাপমাত্রা অন্তত ৫ ডিগ্রি নেমে যাবে স্বাভাবিকের চেয়ে।
এই সময় পাহাড়ে বেড়ানোর মজাই আলাদা বলে মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘জানুয়ারিতে ব্যবসা একেবারেই বন্ধ ছিল। তাই নতুন করে একে চালু করতে এখন তুষারপাতের আকর্ষণই একমাত্র রাস্তা। কারণ তুষারপাতের কথা শুনে অনেকেই ফোন করে জানতে চাইছেন। আমরা সামাজিক মাধ্যমে শীঘ্রই প্রচারে নামছি।’’ সম্রাটদের দাবি, পর্যটন দফতরের তরফেও বেড়ানো
এখন নিরাপদ বলেই প্রচার করার আর্জিও জানিয়েছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy