যে দিকে চোখ যায়, শুধুই বরফ আর বরফ। ফেব্রুয়ারির শেষলগ্নে তুষারের চাদরের ঢাকল দার্জিলিঙের সান্দাকফু। চলতি বছরে এই প্রথম এত ব্যাপক আকারে তুষারপাত হল সান্দাকফুতে। বরফের চাদরে ঢেকেছে মানেভঞ্জন, ফালুটও। তবে বরফ পড়েনি দার্জিলিং শহরে।
রবিবার বিকেল থেকে পাহাড়ে আবহাওয়ার বদল ঘটে। তার পর মাঝরাত এবং সোমবার সকালে প্রবল তুষারপাত হয়েছে সান্দাকফু, মানভেঞ্জন এলাকায়। ফেব্রুয়ারির শেষে বরফ পেয়ে মজেছেন পর্যটকরা। টংলু , তুংলিং-সহ নিচু এলাকা হালকা তুষারপাত হয়েছে। তুষারপাতের জেরে যান চলাচল সাময়িক ভাবে ব্যাহত হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এক বার তুষারপাত হয়েছিল। তবে সে বার সামান্য বরফ পড়েছিল। ফলে সেই অর্থে তুষারপাতের মজা উপভোগ করতে পারেননি পর্যটকরা।
আরও পড়ুন:

বরফে ঢেকেছে চারপাশ। নিজস্ব চিত্র।
সান্দাকফুর মতো একই পরিস্থিতি উত্তর সিকিমেও। ভারী মাত্রায় তুষারপাত হয়েছে উত্তর সিকিমের লাচুং, লাচেন-সহ একাধিক এলাকায়। সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে যান চলাচল।
আরও পড়ুন:
তবে সমতলে বাড়ছে গরম। সকাল থেকেই সমতল এলাকায় চড়া রোদ। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে তাপমাত্রা। সিকিম আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর গোপীনাথ রাহা বলেছেন, ‘‘আগামী ৩-৪ দিন এই তুষারপাত হবে। সঙ্গে বৃষ্টিও হতে পারে দার্জিলিং এবং কালিম্পঙের বেশ কিছু এলাকায়।’’