সীমান্ত বাণিজ্য কেন্দ্রের পার্কিং জোনে সার করে দাঁড়িয়ে আছে পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক। ছবি: জয়ন্ত সেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বাংলাদেশ-ভারত হিলি সীমান্তের ছবি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। দু’দেশের কিছু যাত্রী আসা-যাওয়া করেছেন ও জরুরি কিছু পণ্যের রফতানির কাজও করা গিয়েছে এ দিন। তবে সীমান্ত-বাণিজ্য স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে বলেই মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। অন্য দিকে, নিরাপত্তা এবং নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এই সীমান্তে। নিয়ম ভেঙে প্রবেশের খবর নেই বলে দাবি।
সোমবার দুপুরের পরেই স্তব্ধ হয়ে যায় হিলি সীমান্ত। মঙ্গলবার কিছুটা হলেও তা স্বাভাবিক হয়েছে। এ দিন ২৪ গাড়ি কাঁচালঙ্কা, পেঁয়াজ বাংলাদেশের দিকে যেতে পেরেছে। তার জেরে কিছুটা ক্ষতি এড়ানো গিয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। হিলি রফতানি ব্যবসায়ী সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক ধীরাজ অধিকারী বলেন, ‘‘পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে কত দিন লাগবে, জানি না। তবে বেশ কিছুটা ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।’’ সূত্রের খবর, এ দিন জরুরিভিত্তিতে কাঁচামালটুকু ওপারে পাঠানো গিয়েছে, অপচনশীল পণ্যবাহী কয়েকশো ট্রাক বালুপাড়া ট্রাক টার্মিনাসে দাঁড়িয়ে।
বাণিজ্য কিছুটা স্বাভাবিক হলেও সীমান্তে কড়া নজরদারি রয়েছে নিয়ম-বহির্ভূত প্রবেশ বিষয়ে। তেমন কিছু এখনও না ঘটলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিভিন্ন কারণে কিছু মানুষ ভারতে ঢোকার চেষ্টা করতে পারেন। তার তথ্য রাখতে পুলিশ এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে নিয়মিত সমন্বয় বৈঠক করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তল বলেন, ‘‘আমাদের জেলার সাতটি থানা বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া। কোনওটিতেই অনুপ্রবেশের কোনও রকম খবর নেই।’’
দক্ষিণ দিনাজপুরে আত্রেয়ী নদী ডাঙ্গি হয়ে এবং হিলির যমুনা নদী হিলিতে ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া কিছুটা দূরেই বাংলাদেশে চলে গিয়েছে। নদীপথেও বেআইনি প্রবেশ আটকাতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে সীমান্তরক্ষী বাহিনী সূত্রে খবর। এই জেলায় প্রায় আড়াইশো কিলোমিটার সীমান্ত বাংলাদেশের সঙ্গে এবং অন্তত ২৪ কিলোমিটার এলাকা কাঁটাতারহীন। সেই সব জায়গায় সমন্বয় বাড়িয়েছে পুলিশ-সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
সোমবার বিকেল থেকেই হিলি স্থলবন্দর এলাকার নিরাপত্তা এবং নজরদারি বাড়ানো হয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তরফে। জরুরি পরিস্থিতির মোকাবিলায় হিলিতে এসে পৌঁছেছে দু’ট্রাক সেনা। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy