বাজারে ভিড়—নিজস্ব চিত্র
২৪ ঘণ্টায় পাল্টে গেল শহর। শুক্রবার সকাল থেকেই জলপাইমোড় থেকে জংশন, বিধান রোড থেকে সুভাষপল্লি, পাকুড়তলা থেকে মিলনপল্লি, টিকিয়াপাড়া বা নিউ সিনেমা রোড—পথচারী, গাড়ি, টোটো, অটো, স্কুটি-মোটরবাইকের ছড়াছড়ি। বাসিন্দারা বলছেন, গত বৃহস্পতিবার মনে হয়েছিল, শহরে বন্ধ চলছে। আর শুক্রবার ঠিক তার উল্টো ছবি।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের নির্দেশে লকডাউন ছিল। আবার, আজ শনিবার তা রয়েছে। কিন্তু করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের কারণে শিলিগুড়ি শহরেই আলাদা করে সাত দিনের লকডাউন চলছে। এ দিনের ভিড় দেখে বাসিন্দাদের একাংশের মনে হয়েছে, শহরের অনেকেই সেই কথা ভুলে গিয়েছেন। তাঁদের দাবি, দেখে মনে হচ্ছে দু’ধরনের লকডাউন চলছে। এ দিন পুলিশও বিশেষ কড়াকড়ি করেনি বলে অভিযোগ। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার ত্রিপুরারি অর্থব শুধু বলেছেন, ‘‘পুলিশ প্রশাসন প্রয়োজন মাফিক ব্যবস্থা নিয়েছে। কোথাও অভিযোগ, সমস্যা হলে দেখা হয়েছে।’’
সকাল থেকে জলপাইমোড়, মহানন্দা সেতু লাগোয়া গাঁধী মোড়, হাসমিচক, ঝংকার মোড়ে গাড়ি-বাইকের যাতায়াত ছিল, হচ্ছিল যানজটও। বিকেল অবধি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সেই ছবি দেখা গিয়েছে। শহরের যেদিকেই যাওয়া গিয়েছে, টোটো সারি চোখে পড়়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ছবি আসতেই দুপুরের পর পুলিশ খানিকটা সক্রিয় হয়। বিধান রোডে টোটো সরানো, হাসমিচক দু’চাকা ধরা, গাঁধী মোড়ে গাড়ি আটকানো শুরু হয়।
দুপুরে বিধান মার্কেটের সামনে বিধান রোডে বাইকের লাইন ছিল চোখে পড়ার মত। বৃহস্পতিবার যে ধরনের লকডাউন হয়, তার ১০ শতাংশও এ দিন চোখে পড়েনি। বাজারগুলি উপচে পড়েছে ভিড়। জংশনে বাস, টোটো, অটোর লাইনে দূরত্ববিধি মানাই হয়নি। বিকালের পর থেকে হাকিমপাড়া, পূর্ব বিবেকানন্দপল্লি, আশ্রমপাড়া, হায়দারপাড়া এলাকায় বাড়ি, ক্লাবে সামনে আড্ডা দিতে দেখে গিয়েছে। একই ছবি ছিল প্রধাননগর, দেশবন্ধুপাড়া, বাবুপাড়া, মিলনপল্লি, শক্তিগড়, রবীন্দ্রনগর, সুভাষপল্লির মতো জায়গায়। বাঘাযতীন পার্ক, ডাবগ্রাম, লেকডাউন, গেটবাজারেও বিধি অমান্য করতে দেখা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy