বসবে সিগন্যাল। নিজস্ব চিত্র
রোজকার যানজটে নাকাল শহরবাসী। হিলকার্ট রোড ও সেবক রোডের যানজট নিয়ে বারবার ওঠে অভিযোগ। ওই দুই এলাকার যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে নতুন দু’টি ট্রাফিক সিগন্যাল পয়েন্ট চালু করতে চলছে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট। হিলকার্ট রোডের একটি সিনেমা হল এবং সেবক রোডের একটি নার্সিংহোমের সামনে দু’টি পয়েন্ট বসানো হচ্ছে। আগামী মাসের মধ্যে সে’দুটি চালু হলে কিছুটা যানজট নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে মনে করছে পুলিশ।
আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, ওই দু’টি জায়গায় রাস্তার দুই লেনের মাঝে ব্যারিকেড নেই। এ পার-ও পার করার জন্য ওই ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু দিনভর এমনভাবে গাড়ি ঘোরানো হয় যে কয়েকশো মিটার পর্যন্ত গাড়ির লাইন পড়ে যায়। সেসব নিয়ন্ত্রণ করতেই নতুন ব্যবস্থা হবে।
ইতিমধ্যে হিলকার্ট রোডের বাছাই করা এলাকায় ট্র্যাফিক সিগন্যাল এবং ট্র্যাফিক পোস্টের কাজ শেষ হয়েছে। সেবক রোডেও তাই। আপাতত অন্য সিগন্যাল পয়েন্টের মতো দু’টি পয়েন্টে সিসিটিভি থাকছে না। পরে তার ব্যবস্থা করা হবে। এখন শহরের হিলকার্ট রোড, সেবক রোড, স্টেশন ফিডার রোড, ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক, এশিয়ান হাইওয়েকে ঘিরে ১৮টি সিগন্যাল পয়েন্ট রয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টার পর থেকে রাত ৯টা অবধি সেগুলি সচল থাকে।
শিলিগুড়ি পুলিশের এডিসিপি (ট্রাফিক) ডম্বর সিংহ সোনার বলেন, ‘‘চলতি মাসেই সিগন্যালগুলি বসানোর কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। কয়েকদিন পরীক্ষামূলকভাবে তা চালিয়ে দেখে চালু করে দেওয়া হবে। এতে কিছুটা হলেও হিলকার্ট রোড এবং সেবক রোডের একাংশে যানজট কমানো সম্ভব হবে।’’
গত কয়েক বছরে শিলিগুড়ি শহরের যানজট মারাত্মক আকার নিয়েছে। নতুন রাস্তা, উড়ালপুল বাড়েনি কিন্তু জনসংখ্যা ও গাড়ির চাপ বেড়েছে। ‘রাইটস’-র সমীক্ষায় দেখা দিয়েছে, শিলিগুড়িতে নতুন গাড়ি বৃদ্ধির সংখ্যা বছরে ১০০ শতাংশের বেশি। ফলে দিনের ব্যস্ত সময়ে শহরের কমবেশি সব রাস্তায় যানজট চলে। হিলকার্ট রোড, সেবক রোডের মতো রাস্তায় আলাদা পার্কিং এলাকা না থাকায় গাড়ি, মোটরবাইক রাস্তার দু’ধারে থাকে। পুরসভা শহরের জন্য নতুন পার্কিং এলাকা চিহ্নিত না করতে পারায় সমস্যা আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ।
ইতিমধ্যে বর্ধমান রোডের সংযোগকারী দু’টি রাস্তায় চতুর্থ এবং পঞ্চম মহানন্দা সেতু চালু করেছে রাজ্য সরকার। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, অসম, জলপাইগুড়ির দিক থেকে আসা গাড়িগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে নতুন একটি উড়ালপুলের কাজ শুরু হয়েছে। যদিও সেই কাজ ঢিমেতালে চলছে বলে অভিযোগ। গত কয়েকমাসে কয়েক দফায় সরকারি স্তরে শহরের যানজট কমাতে বৈঠকও হয়েছে। রাজ্য সরকারও শহরের যানজট কমাতে কী কী করণীয় তা ঠিক করতে রাইটসকে দিয়ে আবার সমীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরমধ্য অন্যতম দার্জিলিং মোড়ের যানজট। তবে সবই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় থাকায় আপাতত পরিস্থিতি সামাল দিয়ে সিগন্যাল বাড়িয়ে, রাস্তা একমুখী করে পরিস্থিতি সামাল দিতে চাইছে ট্র্যাফিক পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy