শিলিগুড়ি পুরসভা। —ফাইল চিত্র।
‘সবার জন্য বাড়ি’ প্রকল্পে আরও সাত কোটি ৭৪ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকার বরাদ্দ পেল শিলিগুড়ি পুরসভা। নতুন বছরে ওই টাকা সংশ্লিষ্ট উপভোক্তাদের বিলি করা হবে। তবে প্রথম দফার টাকা নিয়েও, বাড়ি তৈরির কাজ করেনি অনেকে। প্রাথমিক ভাবে সে সংখ্যা অন্তত ৩৫০ জনের মতো হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে, করোনার বাড়াবাড়ির সময় ওই প্রকল্পের টাকা যাঁরা পেয়েছেন, তাঁদের অনেকেই বাড়ি করেননি বলে নজরে এসেছে পুরসভার। তাঁদের একাধিক বার নোটিস করা হয়েছে। সে টাকা ফেরতও দিচ্ছেন অনেকে। বাকিদের কাছ থেকে টাকা ফেরত পেতে প্রক্রিয়া চলছে বলে শিলিগুড়ি পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রকল্পের টাকা নিয়ে বাড়ি করেননি যাঁরা, তাঁদের অনেকের বাড়ি রয়েছে। আবার কেউ কেউ এখন বাড়ি করতে চান না। তা হলে তাঁরা টাকা নিয়েছেন কেন বা তাঁদের টাকা দেওয়া হয়েছে কেন, সে প্রশ্ন উঠেছে। দফতরের মেয়র পারিষদ দিলীপ বর্মন বলেন, ‘‘আবেদনের ভিত্তিতে খতিয়ে দেখেই টাকা বরাদ্দ করা হয়। এখন টাকা নিয়েও কেউ বাড়ি না করলে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। তবে নতুন বরাদ্দ এসেছে। তা বিলির সরকারি নির্দেশিকা পেলে, নতুন বছরে তা দেওয়া শুরু হবে।’’
পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, নতুন এই বরাদ্দে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফার টাকা পাবেন বাসিন্দারা। ২০১৬-২০১৭ আর্থিক বছরে ১,১৭৩ জন ওই প্রকল্পের সুবিধা পাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। তার মধ্যে বাড়ি তৈরির বরাদ্দ বাবদ পুরো তিন লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা পেয়েছেন ৭৫৫ জন। উপভোক্তাকে তার বাইরে নিয়ম মাফিক ৩৫ হাজার টাকা দিতে হয়। নথিভুক্তদের মধ্যে অন্তত ৬০ জন টাকা পেয়েও বাড়ি করেনি। ২০১৮-২০১৯ সালে ১,৭৬৭ জন প্রকল্পে নথিভুক্ত হন। তাঁদের মধ্যে ৩৫০ জন পুরো টাকা পান। তাঁদের মধ্যে অন্তত ৩০ জন বাড়ি তৈরি করেননি। সে সংখ্যা আরও বাড়বে, বলে মনে করছেন আধিকারিকেরা। ২০১৯-২০২০ সালে ১,৬১৮ জন নথিভুক্ত হন। পুরো টাকা পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে ৭৬ জন। ২০২১-২০২২ আর্থিক বছরে ১,৮১৬ জনের নাম নথিভুক্ত হয়। প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন ৪৯১ জন।
এই টাকা দিয়ে ন্যূনতম ৩৫০ বর্গফুটের মধ্যে দুটো ঘর এবং শৌচালয় ও স্নানের জায়গা করতে হবে। যাঁরা টাকা পেয়েও এখনও বাড়ি তৈরি করেননি, তাঁদের চিহ্নিত করার পরে, অনেকের ক্ষেত্রে চার বারের মতো নোটিস করতে হয়েছে। তবে তাঁরা টাকা ফেরত দিতে শুরু করায়, পুর কর্তৃপক্ষের আশা, টাকা পেয়েও বাড়ি না করার মতো ‘অনিয়মের’ সমস্যা তাঁরা মেটাতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy