সাইনবোর্ডে অন্য ভাষা থাকলেও তাতে বাংলা রাখা বাধ্যতামূলক— কয়েক দিন আগে শিলিগুড়ি পুরসভার তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়। সে জন্য ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত পুরসভা এলাকার সমস্ত দোকান, সংস্থা, রেস্তরাঁ, নার্সিংহোমগুলিকে সময় দেওয়া হয়েছে। পুরসভার এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে শনিবার ‘মেয়রকে বলো’তে শহরের অনেক বাসিন্দা ফোন করেন। মেয়র গৌতম দেবকে বাসিন্দারা জানান, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ভাল হয়েছে। অন্যান্য রাজ্যে মাতৃভাষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। সেখানে সেখানকার ভাষায় সাইনবোর্ড, হোর্ডিং থাকে। এখানেও বাংলা ভাষাকে হোর্ডিংয়ে বাধ্যতামূলক করার প্রয়োজন ছিল।
মেয়রের কথা, ‘‘শিলিগুড়ি পুরসভার এই সিদ্ধান্তের পরে ধূপগুড়ি পুরসভা থেকেও যোগাযোগ করা হয়েছে। এই নির্দেশিকার ব্যাপারে জানতে চেয়েছে তারা।’’ আগামী দিনে অন্যান্য জায়গাতেও এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি। এ দিন ‘মেয়রকে বলো’ কর্মসূচিতে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে বাসিন্দারা ফোন করে রাস্তা, পানীয় জল, অবৈধ নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ করেন। গত কয়েক সপ্তাহে ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে রাস্তার সমস্যা নিয়ে প্রচুর অভিযোগ এসেছে পুরসভায়। মেয়রের দাবি, ওই ওয়ার্ডে কয়েক কোটি টাকার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। এর আগে কোনও বোর্ড ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে এত কাজ করেনি।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)