আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে শিলিগুড়ির নতুন পানীয় জল প্রকল্পের প্রথম ও দ্বিতীয় দফার কাজ শেষ করার নির্দেশ দিলেন মেয়র গৌতম দেব। শুক্রবার ফুলবাড়িতে ওই জল প্রকল্পের দ্বিতীয় দফার কাজের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে। যদিও প্রকল্পের কাজ শেষ করার সময়সীমা ১৮ মাস ধরা রয়েছে। সেই মতো আগামী জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। সে কারণেই দ্রুত গতিতে রেকর্ড সময়ে মেয়র কাজ শেষ করতে চাইছেন বলে রাজনীতিকদের ধারণা।
উল্লেখযোগ্য এ দিন শিলান্যাসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন পুরসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপি’র অমিত জৈন এবং তাঁদের কাউন্সিলর বিবেক সিংহ, অনীতা মাহাতো প্রমুখ। কেন্দ্রের অম্রুত (২) প্রকল্পে এই কাজ হচ্ছে বলে কেন্দ্রের অর্থও এতে রয়েছে।
মেয়র বলেন, ‘‘যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ হবে। বাস্তুকার, জনপ্রতিনিধি সকলে মিলেই সহায়তা করবে, যাতে শিলিগুড়ির মানুষকে যত তাড়াতড়ি সম্ভব আমরা জল পৌঁছে দিতে পারি।’’ তিনি আরও জানান, কাজের অগ্রগতি নিয়ে মাসে আলোচনার বদলে এ বার সপ্তাহে হবে। দিনের কাজও দেখা হবে। পুরসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির অমিত জৈন বলেন, ‘‘মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। পরিস্রুত পানীয় জলের জন্য বহু মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়। আর দেরি করা যাবে না। যত দ্রুত সম্ভব জল দিতে হবে। জল নিয়ে আমরা তাই রাজনীতি করতে চাই না। আমাদের দুই কাউন্সিলরকে নিয়ে আমি এখানে উপস্থিত হয়েছি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এটা যৌথ প্রকল্প। তাই রাজ্য, কেন্দ্র, পুরসভা, শিলিগুড়ির মানুষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মানুষ ভাল পানীয় জলের অপেক্ষায় বসে আছে।’’ মেয়র জানান, কেন্দ্রের ৩৩ শতাংশ, রাজ্য ৬২ শতাংশ বরাদ্দ দিচ্ছে, বাকিটা পুরসভা।
প্রকল্পে কত মানুষ উপকৃত হবে?
জল সরবরাহ বিভাগের মেয়র পারিষদ দুলাল দত্ত জানান, কাজ শেষ হলে শিলিগুড়ি শহরে পানীয় জলের সমস্যা থাকবে না। পুরসভার মুখ্য বাস্তুকার সহেলি চৌধুরীর কথায়, ‘‘দ্বিতীয় দফার কাজের শেষে ১০ হাজার পরিবার সংযোগ পাবে। তবে তৃতীয় ফেজ়ের কাজ না হলে বাকি ৮০ হাজার সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে না। তৃতীয় দফার পরিকল্পনা করতে সমীক্ষা চলছে। মেয়র বলেন, ‘‘এই অঞ্চলের মানুষকে জল দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফুলবাড়ির মাটিতে প্রকল্প হচ্ছে। এখানকার মানুষের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।’’
ফুলবাড়িতে প্রধান পাইপ লাইন (মেন রাইজিং পাইপ লাইন)-এর ৩০০ মিটার ব্যক্তি মালিকানায় থাকা কয়েক জনের জমি তথা রাস্তার উপর দিয়ে যাচ্ছে বলে তাঁরা বাধা দিয়েছে। ওই অংশে কাজ বন্ধ রয়েছে। পাইপ বসলে পুরসভা রাস্তাটিও ভাল করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। তাঁরা রাজি না হলে লাগোয়া পরিবহণ দফতরের জায়গা দিয়ে পাইপ পাতার ভাবনা চিন্তা হয়েছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)