অশোক ভট্টাচার্য। ফাইল চিত্র।
ভোটের মুখে নিজেই পুরসভার তরফে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করছেন শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। অথচ জমির অধিকার দেওয়ার মতো রাজ্য সরকারের ঘোষণাকে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি বলে অভিযোগ তুলে শুক্রবার মেয়র বললেন, ‘‘ভোট আসতেই রাজ্য সরকার জমির অধিকার দেওয়ার কথা বলছে। রেলের জায়গায় বসবাসকারীদের জমি মাপজোক করছে। বাস্তবে, ওই জায়গা বাসিন্দারা পাবেন না।’’
এ দিন সাংবাদিক বৈঠক করে মেয়র ঘোষণা করেন, বিপিএল পরিবারগুলোর পানীয় জলের কর দিতে হবে না। পুরসভার জায়গায় বাসবাসকারী হরিজনদের বাড়ির হোল্ডিং নম্বর দেওয়া হবে। শহরে ২ কাঠার মধ্যে দোতলা বাড়ি কেউ করতে চাইলে নকশা অনুমোদনের দরকার হবে না। নিয়ম মেনে নির্মাণ করলেই হল। তবে মুচলেকা দিতে হবে।
গরিবেরা সামাজিক প্রকল্পে যে সুযোগ সুবিধা পান আগের বোর্ড দেড় বছরের বকেয়া পাওনা ফেলে রেখে গিয়েছিল। তা মেটানোর প্রক্রিয়া শুরু হলেও এখনও আট মাসের বকেয়া বাকি। সেই বকেয়া পাওনা জুনের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান মেয়র। বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘এত দিনে পারেননি। জুন মাস পর্যন্ত গরিব মানুষদের বকেয়া মেটানোর কথা তিনি বলছেন কী ভাবে? এপ্রিলেই তার দিন শেষ। জুন থেকে অন্য বোর্ড। এখন বাজেট করতেও পারবেন না। মানুষকে এ সব বলে বিভ্রান্ত করছেন মেয়র।’’
রাজ্য সরকার বস্তিবাসীদের জমির অধিকার দেওয়ার যে কথা বলছে তা ভোটের আগে মিথ্যে প্রতিশ্রতি বলে দাবি করেন মেয়র। কারণ নিজেই ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘‘রেলের জমিতে বসবাসকারীদের পাট্টা দিতে হলে আগে রাজ্যকে রেলের কাছ থেকে ওই জমি কিনতে হবে। তা করা হয়নি। অথচ মুখে বলা হচ্ছে জমির অধিকার দেওয়া হবে। তা হলে বিধান মার্কেটের ব্যবসায়ীদের, রেলের জায়গায় বসবাসকারীদের পাট্টা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি আমরা।’’ তাঁর দাবি, ৪৪ নম্বর-সহ কয়েকটি এলাকায় পুরসভার জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাসকারী পরিবারগুলোকে পুরসভার তরফে জমির অধিকার তুলে দেওয়া হবে। বিরোধী দলনেতা জানান, মেয়র জানেন না। ইতিমধ্যেই রাজ্যে এক লক্ষ মানুষকে সরকার জমির অধিকার দিয়েছে। রেলের জায়গাও যাতে পাওয়া যায় সেই দাবি তাঁরাও করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy