মালদহের মানিকচক ব্লকের কামালতিপুরে ভাঙনের মুখে মসজিদ ও রাস্তা। শনিবার। —নিজস্ব চিত্র।
মসজিদের ‘দুয়ারে’ গঙ্গা। শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া ভাঙনে মসজিদ তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় মালদহের মানিকচকের কামালতিপুরের বাসিন্দাদের। সেই সঙ্গে ঘর হারানোর আতঙ্কে শনিবার রাত জাগলেন গ্রামের চারশতাধিক পরিবার। তাঁদের দাবি, শুক্রবার রাতের ভাঙনে গ্রামের ৩০ মিটার অংশ নদীতে তলিয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানে উদ্যোগী নয় প্রশাসন ও সেচ দফতর।
সেচ দফতরের অবশ্য দাবি, মানিকচকের গোপালপুরের ভাঙন রোধে অস্থায়ী ভাবে কাজের ব্যাপারে পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবে, বাসিন্দারা স্থায়ী ভাবে কাজের দাবিতে সেই কাজে বাধা দেন। তাই কাজ শুরু করা যায়নি। রাজ্যের সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “মানুষ বোল্ডার দিয়ে স্থায়ী কাজ চাইছেন। এখনই তা সম্ভব নয়। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধের কাজ করতে হবে। মানুষকে বোঝানো হচ্ছে।’’
গত পনেরো দিন ধরে মানিকচকের গোপালপুর পঞ্চায়েতের কামালতিপুর, ঈশ্বরটোলা, উত্তর হকুমতটোলা গ্রামে ভাঙন চলছে। স্থানীয়দের দাবি, এই ক’দিনে গ্রামের ২০০ মিটার অংশ গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে। প্রচুর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মাঝে ভাঙন বন্ধ ছিল। শুক্রবার রাত থেকে ফের গ্রামে ভাঙন শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা আরিফ আলি এই বিষয়ে বলেন, “গোপালপুর পঞ্চায়েতে প্রায় ২০ বছর ধরে ভাঙন চলছে। ভাঙন রোধে কখনও স্থায়ী কাজ হয়নি। যার জন্য প্রতি বছর আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে আমাদের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy