Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪

জমি কাণ্ডে এ বার ধৃত ৭

গত ১৭ জানুয়ারি রাজগঞ্জের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক রূপককুমার ভাওয়াল এনজেপি থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, ওই এলাকায় জমি দখল হয়ে যাচ্ছে।

—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:৫০
Share: Save:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফর চলাকালীনই সরকারি জমি বিক্রির অভিযোগে ফের ৭ জনকে গ্রেফতার করা হল। বৃহস্পতিবার রাতে এনজেপি থানার শ্রীরাম কলোনির ঘটনা। অভিযোগ, ধৃতেরা এলাকায় সক্রিয় তৃণমূলকর্মী বলে পরিচিত। ধৃতদের মুক্তির দাবিতে রাতেই থানায় বিক্ষোভ হয়। তারপরেই ধৃতদের বাগডোগরা থানায় সরিয়ে দেয় পুলিশ। তৃণমূল নেতা হিম্মত গ্রেফতারের পরেও প্রধাননগর থানায় চড়াও হন একদল বাসিন্দা। সে সময়ে থানার অদূরে গুলি চলেছিল বলে অভিযোগ। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) গৌরব লাল বলেন, ‘‘ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের অভিযোগের ভিত্তিতে ৭ জন গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁদের ৫ দিনের জেল হেফাজত মঞ্জুর করেছে আদালত।’’ ধৃতদের নাম সুরজিৎ দাস, দীপঙ্কর পাল, বাপি ঘোষ, লোকনাথ দে, রাজকুমার ঘোষ সমর সিং এবং মিঠুন দে ওরফে চিন্ময়।

গত বছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গে এসে জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন। তারপরে চম্পাসারিতে সরকারি জমি দখলের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ চৌহান ওরফে হিম্মত সিংহ। তিনি জামিনে থাকলেও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা এখনও চলছে। পুলিশের দাবি এ দিন যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁরা সরাসরি জমি বিক্রির সঙ্গে যুক্ত বলে প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গিয়েছে। ধৃতদের বাইরে আর কারা এই চক্রে রয়েছেন তারও খোঁজ চলছে।

গত ১৭ জানুয়ারি রাজগঞ্জের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক রূপককুমার ভাওয়াল এনজেপি থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, ওই এলাকায় জমি দখল হয়ে যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন তিনি। তার প্রায় ৮ দিনের মাথায় মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়ি আসার পরেই গ্রেফতার হলেন অভিযুক্তরা। পুলিশের দাবি, ফুলবাড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শ্রীরাম কলোনিতে দীর্ঘ দিন ধরেই ফুলেশ্বরী নদীর জমির পাশে সরকারি জমি দখল করে তা প্লট করে বিক্রি করেছে ওই সাত অভিযুক্ত। ৪০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্লট বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রায় ৫ একর জমি দখল হয়ে গিয়েছে গত এক বছরে, এমনই অভিযোগ উঠেছে।

ধৃতরা সকলেই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলে এলাকায় পরিচিত। তাদের মধ্যে একজন ফুলবাড়ি-১ নম্বর অঞ্চলের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মহম্মদ ওয়াহিবের ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘‘যাদের ধরা হয়েছে, তাঁরা কেউই জমি বিক্রির সঙ্গে যুক্ত নন। বিজেপির ইন্ধনে পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। আমি বা দলের কেউ এতে জড়িত নয়।’’ পর্যটনমন্ত্রী তথা গৌতম দেবের বিধানসভা এলাকার মধ্যেই ওই জমি। গৌতম বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আগেও জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। এ ব্যাপারে পুলিশ যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে। কোনও রং দেখা হবে না।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Scam Land Arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy