নজরদারি: নিমতিতা স্টেশনে বিস্ফোরণের পরে মালদহ টাউন স্টেশন চত্বরে জোরদার নিরাপত্তা। ছবি: স্বরূপ সাহা।
কোথাও উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম, কোথাও আবার অন্ধকার স্টেশন। এমনই অবস্থা মালদহ ডিভিশনের একাধিক স্টেশনেই। নিমতিতা বিস্ফোরণ কান্ডের পরেই ডিভিশনের সমস্ত স্টেশনেই সতর্কতা জারি করল রেল। স্টেশনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেল। পাশাপাশি স্টেশনগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নেরও দাবিও তুলেছেন যাত্রীরা।
১৯৭৫ সালে মালদহ রেলওয়ে ডিভিশন তৈরি হয়। এর অধীনে মালদহ, মুর্শিদাবাদ ছাড়াও বিহারেরও একাধিক স্টেশন রয়েছে। এ-১ স্টেশনের তালিকায় রয়েছে মালদহ টাউন এবং ভাগলপুর। যাত্রীদের দাবি, ওই দুই স্টেশনে পরিকাঠামো থাকলেও অন্যত্র পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। মালদহের জামিরঘাটা, খালতিপুর, গৌড় মালদহ ও মুর্শিদাবাদ নানা সমস্যায় ধুঁকছে।
গত বুধবার রাতে নিমতিতা স্টেশন প্ল্যাটফর্মে বিস্ফোরণে আহত হন রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ও অনেকে। সেই ঘটনায় রেল সুরক্ষা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। অভিযোগ, নিমতিতার মতোই ডিভিশনের অধিকাংশ স্টেশনেই নিরাপত্তার বালাই নেই। সূর্য ডুবলেই অন্ধকারে ডুবে থাকে স্টেশন। পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষীও নেই। যাত্রীদের দাবি, স্টেশন চত্বরে চলে দুষ্কৃতীদের দাপট। মালদহের তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি বলেন, ‘‘রেল নিরাপত্তার নামে টিকিটের দাম বাড়িয়েছে অথচ নিরাপত্তা বলে কিছুই নেই। যার জন্য স্টেশনেই বিস্ফোরণ হচ্ছে।’’ উত্তর মালদহের সাংসদ বিজেপির খগেন মুর্মু বলেন, ‘‘রেলের পরিকাঠামোর ক্রমশ উন্নয়ন হচ্ছে।’’
তবে নিমতিতার পর সতর্ক রেল। রেল সূত্রে খবর, মালদহ টাউন স্টেশনে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন থামে। হাজার হাজার যাত্রী স্টেশন ব্যবহার করেন। তাই মালদহ টাউন স্টেশনে কুকুর দিয়ে তল্লাশি চলছে। সিসি ক্যামেরায় চলছে নজরদারি। এছাড়া স্টেশনে প্রবেশের একটি গেট খোলা হয়েছে। মালদহ রেলওয়ে ডিভিশনের ডিআরএম যতীন্দ্র কুমার বলেন, ‘‘রেল সতর্ক রয়েছে। স্টেশনগুলিতে নজরদারিও জোরদার করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy