উত্তর চকোয়াক্ষেতি সংলগ্ন এলাকায় বাইসন। ছবি: নারায়ণ দে
জঙ্গল থেকে লোকালয়ে বেরিয়ে তাণ্ডব চালাল তিনটি বাইসনের একটি দল। যার জেরে। আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের তপসিখাতা ও চকোয়াখেতি গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক এলাকায় ছড়াল আতঙ্ক। পড়ুয়াদের নিরাপত্তার কথা ভেবে একটি প্রাথমিক স্কুলে পড়াশোনা পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায়। অভিযোগ, ক্ষতি হয় ফসলেরও। তবে সাধারণ মানুষের কারও কোনও ক্ষতি হয়নি বলে বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রের খবর, জলদাপাড়ার জঙ্গলের চিলাপাতার দিক থেকে বুধবার ভোরে তপসিখাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের শালবাড়ি এলাকায় তিনটি বাইসনের দলটিকে দেখা যায়। সকাল হতেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করে। এলাকায় বেশ কিছুক্ষণ ছোটাছুটির পরে, বাইসন তিনটি চকোয়াখেতি গ্রাম পঞ্চায়েতর উত্তর কামসিং এলাকায় ঢুকে যায়। সেখান থেকে বাইসনগুলি যায় পূর্ব কামসিং গ্রামে। এর পরে, একটি বাইসন দলছুট হয়ে মথুরা চা বাগানেরর দিকে চলে যায়। দুপুরে মথুরা চা বাগানের আউট ডিভিশনে বাইসনটিকে ঘুমপাড়ানি গুলির সাহায্যে কাবু করে বন দফতর। বাকি দুটো বাইসনও চিলাপাতার জঙ্গলে ঢুকে যায়।
এ দিন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা না থাকলেও, তিনটি বাইসনের দাপাদাপিতে আতঙ্ক ছড়ায়। উত্তর চকোয়াখেতির ধীরাজ মেমোরিয়াল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তপন রাভা বলেন, “স্কুলে পৌঁছানোর সময়েই আমরা বাইসনের বিষয়টি জানতে পারি। বাইসনগুলি স্কুলের পাশে রয়েছে বুঝতে পেরে, পড়ুয়াদের স্কুলে আসতে নিষেধ করি।” সূত্রের খবর, অভিভাবকেরাও এ দিন ওই স্কুলে সন্তানদের পাঠাননি। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের সহকারী বন্যপ্রাণ সহায়ক নভোজিৎ দে বলেন, “দুটি বাইসনকে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একটিকে ঘুমপাড়ানি গুলিতে আচ্ছন্ন করার পরে, চিলাপাতার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy