উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা উপাচার্য সঞ্চারী রায় মুখোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব নিলেন সঞ্চারী রায় মুখোপাধ্যায়। রবিবার আচার্য তথা রাজ্যপালের দফতর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সরাসরি পাঠানো নির্দেশিকা অনুযায়ী সোমবার দায়িত্ব নিলেন তিনি। এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক তিনি। অস্থায়ী হলেও, এই প্রথম কোনও মহিলা উপাচার্য হলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে।
পরবর্তী নির্দেশিকা না মেলা পর্যন্ত, সঞ্চারী এই দায়িত্বে থাকছেন। তবে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত নানা ক্ষেত্রেই সমস্যা চলবে বলেই মনে করা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। নতুন নিয়মে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে পাঁচ জনের ‘সার্চ কমিটি’ গড়তে হবে। সে কারণে পুরনো ‘সার্চ কমিটি’ কাজ করবে না। সে সব প্রক্রিয়া মেনে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে আরও অনেক সময় লাগবে বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের।
দায়িত্ব নিয়ে সঞ্চারী বলেন, ‘‘খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। কেন না, এই বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজের বিশ্ববিদ্যালয় মনে করি। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা সর্বোচ্চ জায়গায় আসতে পেরেছি। সে জন্য খুবই খুশি।’’ এ দিন কাজে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আগের উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র অনেক বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছেন। সেগুলো এগিয়ে নিতে হবে। প্রথম বিষয় ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল (নাক)-এর মূল্যায়ন নিয়ে যে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে, তার জন্য বিশেষ ‘রিভিউ কমিটি’ হয়েছিল। সে রিপোর্ট মেনে বিভিন্ন বিভাগের কাজে গতি আনা হয়েছে। সেটা যাতে বজায় থাকে, সেটা দেখতে হবে। কোথাও যাতে কাজে শৈথিল্য না আসে। যিনিই দায়িত্বে থাকুন না কেন, তাঁকেও সেটার মুখোমুখি হতে হবে। তাই দেখতে হবে, এ বার যাতে আমরা স্বমহিমায় আসতে পারি।’’
বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক আধিকারিকের পদ শূন্য। অস্থায়ী রেজিস্ট্রার এবং ফিনান্স অফিসার দিয়ে কাজ চলছে। কলেজ সমূহের পরিদর্শক পদ এবং এস্টেট অফিসারের পদে লোক নেই। অস্থায়ী উপাচার্যদের তরফে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে নানা সমস্যা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন দীর্ঘদিন ধরে হচ্ছে না। নতুন উপাচার্য় বলেন, ‘‘আমার নিয়োগে কোনও সময়সীমা যদিও দেওয়া হয়নি। পরবর্তী নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে, তা ছাড়া, কোনও শর্ত বা তেমন কিছু বলা নেই। তবে কোনও সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আচার্য, রাজ্য সরকারের শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কথা বলেই করতে হবে। স্থায়ী, অস্থায়ী সব ক্ষেত্রেই উপাচার্যদের সেটা করতে হয়। বিভিন্ন সমস্যা থাকবেই। সমস্যা নিয়ে এগোতে হবে। যখন, যেটা আসবে, সেটা চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখতে হবে।’’
পড়াশোনার মানোন্নয়ন প্রসঙ্গে উপাচার্যের বক্তব্য, ‘সার্টিফিকেট কোর্স’, ‘সেল্ফ ফিনান্স কোর্স’-এ জোর দিতে হবে। যেগুলোতে উৎসাহীরা যাঁরা নিয়মিত কোর্সে পড়াশোনা করতে পারেননি, উপকৃত হবেন। তেমনই বিশ্ববিদ্যালয়েরও ভাল হবে বলে তিনি আশাবাদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy