কোচবিহারে যাত্রীবোঝাই বাসে চলল গুলি। —নিজস্ব চিত্র।
যাত্রী সেজে বাসে উঠে ছিনতাই করে পালাল এক দল দুষ্কৃতী। বাসের মধ্যে চলল গুলিও। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের ঘোকসাডাঙা থানার রাইস মিল এলাকার রাস্তায়।
সোমবার নদিয়ার নবদ্বীপ থেকে কোচবিহারের দিকে আসছিল একটি বেসরকারি বাস। যাত্রীরা জানাচ্ছেন, অভিযুক্তদের কয়েক জন বাসে উঠেছিল ফালাকাটা থেকে। বাকিরা ঘোকসাডাঙা স্ট্যান্ড থেকে বাসে ওঠে। দূরপাল্লার বাস বলে দু’জন চালক ছিলেন বাসে। এক জন চালক বাসের পিছন দিকের আসনে বসেছিলেন। তাঁকে প্রথমে মারধর শুরু করে অভিযুক্তরা। যাত্রীদের কারও জিনিসপত্রে হাত না দিলেও বাসের কর্মীদের রাখা কয়েকটি পার্সেল ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে তারা। বাধা দিতে গেলে চলে গুলি। শুরু হয় মারধর। আতঙ্কে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন যাত্রীরা। বাসচালক এবং কন্ডাক্টরের ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এর পর সেখানেই দাঁড়িয়ে পড়ে বাসটি। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।
প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, বাসের চালক এবং কর্মীদের জামাকাপড় এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ছিল কয়েকটি ব্যাগে। পাশাপাশি ছিল বেশ কয়েকটি পার্সেল। অনুমান করা হচ্ছে, ওই পার্সেলগুলো লুট করতে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। প্রশ্ন উঠছে, কী ছিল ওই পার্সলে? ইতিমধ্যেই জেলা পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য-সহ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছেন।
চিরঞ্জিৎ বর্মণ নামে বাসের এক কর্মী বলেন, ‘‘কয়েক জন দুষ্কৃতী ফালাকাটা থেকে উঠেছিল। ওদের মুখ ঢাকা ছিল। আবার কয়েক জন ঘোকসাডাঙা থেকে ওঠে। হঠাৎ বন্দুক বার করে গুলি চালায় ওরা। ওদের কাছে ধারালো একটি কুড়লও ছিল।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আমাদের বাসের এক চালককে মারধর করে কেবিনে থাকা চারটি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায় ওরা। এখন কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি চালক।’’
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, দুষ্কৃতীরা ওই বাসে ছিনতাইয়ের পর একটি চার চাকার গাড়িতে পালিয়ে যায়। পুলিশ সুপার জানান, ওই গাড়িটি ধুপগুড়িতে নাকা চেকিং পার করেছে। সিসিটিভিতে সেই ফুটেজ ধরা পড়েছে। পুলিশ সমস্ত নাকা চেকিংয়ের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy